জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শতাধিক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বসবাস পুরাণ ঢাকার অস্বাস্থ্যকর এ পরিবেশে। তাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। ক্যাম্পাস পরিস্কার রাখা হলেও শিক্ষার্থীরা থাকছেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বসবাস পুরাণ ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকায়। এডিশ মশার কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছেনা শিক্ষার্থীরা ফলে আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে।
বৃহষ্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা ২০০ জন শিক্ষার্থীর প্রায় এক তৃতীয়াংশের মাঝে ডেঙ্গু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই চিকিৎসা নিচ্ছেন ক্যাম্পাসের পাশের সুমনা হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে মাঝেমধ্যে মশকনিধনে ফগার মেশিন দিয়ে যে ওষুধ ছিটানো হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ অল্প। উন্মুক্ত লাইব্রেরীতে ও বারান্দায় পড়ার সময় সেটা বেশ উপলব্ধি করতে পারি। আমাদের মেডিকেল সেন্টারেরও চিকিৎসা সেবায় বেশ সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া পুরাণ ঢাকার এমন পরিবেশে এডিস মশা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়না।
এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের মেডিকেল সেন্টারকে এবিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আর প্রাথমিকভাবে কোনোকিছু করার সুযোগ আছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশাসনের সাথে সামনের রবিবারে আমি কথা বলবো।
মেডিকেল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, এখানে আসা রোগীদের অনেকের মধ্যেই ডেঙ্গু সিন্ড্রোম আছে সাথে সিজন চেঞ্জ হচ্ছে তাই সিজনাল ভাইরাস জ্বরেও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মোট জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশই ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে আমাদের কাছে আসছেন। অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরের টেস্ট দেওয়ার পরে আমাদের এখানে আর আসেন না তাই রোগীর সঠিক সংখ্যাটা জানানো যাচ্ছেনা।