ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নতুন সভাপতি পেয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি পদে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়।
এরপরই নিজের স্বস্তির কথা জানিয়েছেন সোনিয়া। দায়িত্বের বোঝা ঘাড় থেকে নামার পর নিজেকে হালকা লাগছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মল্লিকার্জুন খাড়গে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় নিজে ‘স্বস্তি বোধ করেছেন’ বলে জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। এই পদটিতে তিনি দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর ধরে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
এদিন সোনিয়া বলেন, ‘আমি আমার সাধ্যমতো দায়িত্ব পালন করেছি। আজ, আমি এই দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবো। আমার কাঁধ থেকে একটি ভার সরে গেছে। আমি স্বস্তির অনুভূতি অনুভব করছি।’
তিনি আরও বলেন, এটি বেশ বড় দায়িত্ব ছিল। তবে এই দায়িত্ব এখন মল্লিকার্জুন খাড়গের ওপর।
সোনিয়া বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সংকট আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এদিন কংগ্রেস নেতাদের সমাবেশে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। চ্যালেঞ্জ হলো- আমরা কীভাবে সেটা মোকাবিলা করি। সম্পূর্ণ শক্তি, ঐক্যের সাথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং সফল হতে হবে।’
১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হারের পর সীতারাম কেশরীকে সরিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল সোনিয়ার কাঁধে। সে সময় দেশের মাত্র ৩টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শতাব্দীপ্রাচীন এই দল। কিন্তু লোকসভায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছিল ১৪১। গত দু’টি লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি ঝড়ের মুখে ষাটের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে বিপুল ব্যবধানে পেছনে ফেলে জয়ী হন খাড়গে। ভোট পড়েছিল ৯,৩৮৫টি। তার মধ্যে খাড়গে পান ৭ হাজার ৮৯৭ ভোট।
১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসলেন।