বিশ্ববাসী বিরল এক সূর্যগ্রহণ দেখবে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর)। চাঁদ যখন সূর্যকে ঢেকে ফেলে তখন সূর্যগ্রহণ হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা যাবে এই সূর্যগ্রহণ।
সূর্যগ্রহণের সময় কী করতে হবে, কী করতে হবে না তা নিয়ে অনেক কুসংস্কার রয়েছে। তবে সূর্যগ্রহণের সময় কী করতে হবে এ বিষয়ে বেশ কিছু হাদিসে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। সূর্যগ্রহণ হলে মহানবী (সা.) সাধারণত নামাজ আদায় করতেন। এছাড়া বিশেষ মুনাজাত ও দান-সদকার কথাও বলেছেন মহানবী (সা.)।
এক হাদিসের বর্ণনায় এসেছে, আমর ইবনু আওন (রহঃ)... আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম, এ সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন উঠে দাঁড়ালেন এবং নিজের চাদর টানতে টানতে মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং আমরাও প্রবেশ করলাম। তিনি আমাদেরকে নিয়ে সূর্য প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত দুই রাকাআত নামাজ আদায় করলেন। এরপর তিনি (সা.) বললেন, কারো মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ কিংবা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ দেখবে তখন এ অবস্থা কেটে যাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে এবং দু’আ করতে থাকবে।
আরেক হাদিসের বর্ণনায় দান-সদকা করার কথা উঠে এসেছে। আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়লা সূর্যগ্রহণ দিয়ে তার বান্দাদের সতর্ক করেন। সূর্যগ্রহণের সময় কবর আজাব থেকে পানাহ চাওয়ার বর্ণনাও এসেছে আরেক হাদিসে। অন্য আরেক হাদিসে সূর্যগ্রহণের সালাতে দীর্ঘ সিজদা করার কথাও জানা যায়। সূর্যগ্রহণের সময় গোলাম মুক্ত করা ও আল্লাহ তায়লার জিকরের কথাও এসেছে হাদিসে।