সবচেয়ে বড়! না কি অন্যতম বড়- আপাতত সেই দ্বন্দ্বে ভুগছেন হিরা বিশেষজ্ঞরা। তবে একটি বিষয়ে তারা নিশ্চিত- গত ৩০০ বছরের হিরের ইতিহাসে এত বড় গোলাপি হিরার খোঁজ মেলেনি। ১৭০ ক্যারাটের না-কাটা হিরেটি মধ্য আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলার লুলো খনি থেকে উদ্ধার হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিরাটি বিশ্বের অন্যতম বিরল হিরে তো বটেই, অন্যতম বড় হিরাও।
বিশুদ্ধতা এবং বিরলতার ভিত্তিতে এই ধরনের রত্নের বিভিন্ন ভাগ করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে শুদ্ধতম এবং বিরলতম বলা হয় ‘টাইপ টুএ’ জাতীয় হিরাকে। এ হিরাটি ওই গোত্রের। ইতিমধ্যেই তার নামকরণও হয়ে গেছে। লুলো খনির নামে হিরাটির নাম দেয়া হয়েছে ‘লুলো রোজ’।
আফ্রিকার অ্যঙ্গোলান সরকার এবং লুকাপা ডায়মন্ড সংস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকা খনি লুলো। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া হিরাটিতে দু’পক্ষেরই অধিকার থাকবে। অ্যাঙ্গোলার খনি মন্ত্রী ডায়ামেন্টিনো অ্যজেভেডো হিরা উদ্ধার হওয়ার পর একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘এই আবিষ্কার প্রমাণ করল হিরার দুনিয়ায় অ্যাঙ্গোলার দর কতটা!’
গোলাপি হিরার রহস্য কী?
ঝকঝকে সাদা হিরা এক রকম। কিন্তু হিরে তার গোলাপি রং পায় কিভাবে! ভিক্টোরিয়া মিউজিয়াম বলছে, হিরার রং গোলাপি হয় অতিরিক্ত তাপমাত্রায়। আর চারদিক থেকে আসা অতিরিক্ত চাপে।
দাম কত হতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর বিশাল দর উঠতে পারে। তুলনা টানতে তারা জানিয়েছেন, এর আগে পিঙ্ক স্টার নামে ৫৯.৬ ক্যারাটের একটি গোলাপি হিরা ২০১৭ সালে বিক্রি হয়েছিল। যা এখনকার হিসাবে ১৬ মিলিয়ন ডলার। সে দিক দিয়ে বিচার করলে লুলু রোজের ওজন এর দ্বিগুণেরও বেশি। আর পাঁচ বছর পর দাম আরো অনেকটাই চড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তার আগে হিরাটি কাটতে হবে।
প্রক্রিয়াকরণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন কাটার পর এই হিরের রূপ আরো খুলবে। তবে এ-ও ঠিক প্রক্রিয়াকরণের সময় এর ওজন অর্ধেকের কাছাকাছি কমে যাবে। তবে তার পরও বিশ্বের অন্যতম সেরা হিরা হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না ‘লুলু রোজ’কে।
সূত্র: আনন্দবাজার