যুক্তরাজ্যের পরবর্তী হওয়ার দৌড়ে সাবেক ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। তার পেছনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ১৪২ জন কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে এবং সোমবারই (২৪ অক্টোবর) তিনি দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। মূলত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরে দাঁড়ানোর পর সুনাকের প্রতিপক্ষ এখন কেবল পেনি মর্ডান্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন যদি তার প্রতিপক্ষ পেনি মর্ডান্ট আজকের মধ্যে অর্থাৎ সোমবারের মধ্যে ১০০ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন।
পেনি মর্ডান্টের কাছে বর্তমানে ২৯ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে সুনাকের কাছে ইতোমধ্যেই ১৪২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন রয়েছে।
এদিকে আশা দেখিয়েও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ অক্টোবর) দেওয়া এক বিবৃতিতে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
জনসন বলেছেন, ব্রিটেনের পরবর্তী নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতায় সামনে এগিয়ে যেতে তার পেছনে আইনপ্রণেতাদের যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে তবে তা সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চেয়ে অনেক কম। এতে করে সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল।
রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে জনসন বলেছেন, ‘কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে আমার সফল হওয়ার খুব ভালো একটা সুযোগ রয়েছে - এবং আমি সত্যিই শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসতে পারি।’
‘কিন্তু গত কয়েকদিনে আমি দুঃখের সাথে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এটি করা ঠিক হবে না। পার্লামেন্ট ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে আপনি কার্যকরভাবে দেশ শাসন করতে পারবেন না।’
বরিসের এই সিদ্ধান্তের পর ব্রিটেনের সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে এখন কেবল রয়েছেন পেনি মর্ডান্ট। এনডিটিভি বলছে, সোমবার যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় দুপুর ২টার মধ্যে মর্ডান্ট যদি ১০০ জন আইপ্রণেতার সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ঋষি সুনাক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত নিয়মের অধীনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কোনো প্রার্থীর সহকর্মী টোরি এমপিদের থেকে কমপক্ষে ১০০ জনের মনোনয়নের বা সমর্থনের প্রয়োজন হবে। সেই হিসাবে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন এই দলের মধ্যে নতুন নেতা হওয়ার দৌড়ে তিনজনের বেশি দাঁড়াতে পারবেন না।
কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৩৫৭ জন টোরি এমপি রয়েছে। তবে পেনি মর্ডান্ট যদি ১০০ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন পেয়েই যান তাহলে চূড়ান্ত এই দুই প্রার্থী প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টোরি সদস্যদের দ্রুত অনলাইন ভোটের মুখোমুখি হবেন। আর সেটি হলে আগামী শুক্রবারের মধ্যে ব্রিটেনের নতুন নেতা নির্বাচিত হবেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ঋষি সুনাক গতকাল তার আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা ঘোষণা করে বলেছেন, তার লক্ষ্য অর্থনীতি ঠিক করা, দলকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং ‘দেশকে সেবা করা’।