Can't found in the image content. প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ২৪, ২০২২

প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ অক্টোবর) দেওয়া এক বিবৃতিতে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

জনসন বলেছেন, ব্রিটেনের পরবর্তী নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতায় সামনে এগিয়ে যেতে তার পেছনে আইনপ্রণেতাদের যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে তবে তা সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চেয়ে অনেক কম। এতে করে সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল। সোমবার (২৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রোববার ব্রিটেনের পরবর্তী নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে বলেছেন, পরবর্তী পর্যায়ে অগ্রগতির জন্য তার পেছনে যথেষ্ট পরিমাণ আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে, তবে সেটি সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চেয়ে অনেক কম।

রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে জনসন বলেছেন, ‘কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে আমার সফল হওয়ার খুব ভালো একটা সুযোগ রয়েছে - এবং আমি সত্যিই শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসতে পারি।’

‘কিন্তু গত কয়েকদিনে আমি দুঃখের সাথে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এটি করা ঠিক হবে না। পার্লামেন্ট ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে আপনি কার্যকরভাবে দেশ শাসন করতে পারবেন না।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। মাত্র মাস দেড়েক আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তবে তার পদত্যাগের পর এখন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পাটির পরবর্তী নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নির্ধারণের জন্য আরেকটি নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে।

লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর নিজের দ্রুত রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন বরিস জনসন। সম্প্রতি তিনি ছুটি কাটনোর জন্য ব্রিটেনের বাইরে গেলেও শনিবার তড়িঘড়ি করেই দেশে ফিরে আসেন।

অবশ্য দেশে ফিরলেও ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসার জন্য জনসন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। তবে ব্রিটেনের পা রেখেই কনজারভেটিভ আইন প্রণেতাদের তাকে সমর্থন করার জন্য রাজি করার চেষ্টা করেছেন জনসন।

এছাড়া রোববার তিনি বলেছিলেন, কনজারভেটিভ আইন প্রণেতাদের মধ্যে তার ১০২ জনের সমর্থন রয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বরিস জনসনকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন এমন আইনপ্রণেতার সংখ্যা মূলত ৫৭ জন। তবে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কোনো প্রার্থীকে সহকর্মী টোরি এমপিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের মনোনয়নের বা সমর্থনের প্রয়োজন হবে।

অন্যদিকে সাবেক ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সমর্থনকারী টোরি আইনপ্রণেতার সংখ্যা ১৪২ জন বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ। এতে করে সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল। মূলত এই সুনাকের পদত্যাগের সিদ্ধান্তই জনসনকে গত জুলাইয়ে ব্রিটেনের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে আনতে সাহায্য করেছিল।

রয়টার্স বলছে, এখন যে অবস্থা তাতে পেনি মর্ডান্ট সহকর্মী টোরি এমপিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের মনোনয়ন বা সমর্থন নিশ্চিত করতে না পারলে ঋষি সুনাকই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা মনোনীত হবেন এবং সোমবারই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন।

আর সেই সম্ভাবনাই হয়তো বেশি। কারণ রোববার পর্যন্ত ২৪ জন কনজারভেটিভ আইণপ্রণেতা পেনি মর্ডান্টকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন।