গণিতের উৎকর্ষ সাধনে প্রতি বছর গণিত বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেনিতে যে সকল শিক্ষার্থী প্রথম স্থান অর্জন করে তাদেরকে গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড, সনদ ও নগদ অর্থের চেক প্রদান করা হয়। এবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চার শিক্ষার্থী এই এওয়ার্ড পেয়েছেন।
রোববার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এএফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত 'গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড ও নবীনবরণ' অনুষ্ঠানে এ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
স্নাতক শ্রেনির দুই শিক্ষাবর্ষের দুজন শিক্ষার্থী শিশির রঞ্জন দাস ও তাসলিমা আক্তার এবং স্নাতকোত্তর শ্রেনির দুই শিক্ষাবর্ষের সেলিম হোসেন ও শ্রীধাম চন্দ্র অধিকারী। প্রত্যেককেই স্বর্ণপদক ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও স্নাতক পর্যায়ে দুইজনকে নগদ বিশ হাজার টাকা ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের দুইজনকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান এবং এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এর ট্রাস্টি খুশী কবির।
কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন আহমদ বলেন, আমি দেখেছি যারা গণিতশাস্ত্র চর্যা করে তাদের মন মানসিকতা ভালো হয়। গণিতে যারা পড়ে তাদের ভবিষ্যতে তারা অবশ্যই ভালো কিছু করবে। যারা গোল্ড মেডেল পেয়েছে তারা অনেক কষ্ট করে এখানে এসেছে। আমাদের অনেক সঙ্কট তা সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
গোল্ডমেডেল এওয়ার্ড পাওয়া চারজন শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন এবং নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের মধ্যে জনবহুল একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। গণিত জানলে সবকিছুই জানা যায়। নবীন শিক্ষার্থীদের তিনি বলনে, গণিতে পড়ে কোনো লস হওয়ার সুযোগ নাই। বর্তমানে সব স্থানে গণিতের শিক্ষার্থীরা ভালোকিছু করছে।
ডিনস্ এওয়ার্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ডিনস্ এওয়ার্ড দেয়া হবে। নীতিমালা পাশ হয়েছে। নীতিমালায় বলা আছে, কেউ রিএড নিতে পারবে না, কোনো পরীক্ষায় ইমপ্রুভ থাকতে পারবে না। নির্দিষ্ট পরিমাণ উপস্থিতি থাকতে হবে। তাই তোমরা যারা এই এওয়ার্ড পেতে যাও এসব বিষয়ে এখন থেকেই সচেতন থাকতে হবে।