বাজার থেকে হঠাৎ করেই গায়েব চিনি। কোনোখানেই মিলছে না সরকার নির্ধারিত মূল্যে। কেউ কেউ অতিরিক্ত দরে বিক্রি করায় মুখোমুখি হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, নির্ধারিত দামে কিনতে পারছেন না তারা নিজেরাই। এদিকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
হঠাৎই বাজার থেকে উধাও চিনি। কারণ, খুঁজতে গিয়ে জানা গেলো, মিলগেট থেকে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে পাইকারদের।
যাতে প্যাকেটের গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করা হচ্ছিল খুচরায়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার মুখে পড়ে পণ্যটি কেনা-বেচাই বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
এক বিক্রেতা বলেন, তীর ও ফ্রেশ কোম্পানির প্যাকেটজাত চিনি বেশি চলে। তবে এ দুই কোম্পানির সরবরাহ নেই। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। খোলা চিনি বস্তাপ্রতি ৫ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হয়। ওরা চিনির স্লিপ দেই না। আমরাও বিক্রি করি না। কারণ, ম্যাজিস্ট্রেটকে স্লিপ দেখাতে না পারলে আমাদের জরিমানা হবে।
আদা ও পেঁয়াজের দামও ঊর্ধ্বমুখী। কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে আদার মূল্য। ভারতীয় পেঁয়াজের অতিরিক্ত দামের ভারে পিষ্ট দেশিটার দর। অর্ধশতকের ঘর ছুঁয়েছে এটি।
এক বিক্রেতা বলেন, সারাদেশ থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। ভারতের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ফলে নিত্যপণ্যটির দর একটু বেশি।
কিছুটা স্বস্তি আমিষের বাজারে। কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দর।
এক বিক্রেতা বলেন, এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছি ১৮০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৯০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি ৩১০ টাকা আর লেয়ার মুরগি বিক্রি করছি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়।
এক ক্রেতা বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। যাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয় আছে, তারা আমাদের একটু ছাড় দিচ্ছেন। তবে বাজারে দাম বাড়তি।
শীতের সবজি সরবরাহ ভালো। তাই ধীরে ধীরে কমছে দর। শতক থেকে কমে অর্ধশতকের ঘরে প্রায় প্রতিটি সবজি। তবে ক্রেতার দেখা পাওয়া ভার।
এক বিক্রেতা বলেন, এখন সবজির সর্বোচ্চ দাম ৫০ টাকা। তবে বেশিরভাগই ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে আছে। এখানে ৩০ টাকারও সবজি রয়েছে। সেই হিসাবে গত সপ্তাহের এ সপ্তাহে দাম অনে ক কম।
তবে এক ক্রেতা বলেন, সবকিছু আমাদের আওতার বাইরে চলে গেছে। এখন কিছু করার নেই। একমাত্র ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে কিছু করলে হবে। নয়তো হবে না।