ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া হাইকোর্টে

আদালত প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ১৯, ২০২২

ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া হাইকোর্টে

ফাইল ছবি

ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম নির্ভর কনটেন্ট প্রকাশের ওপর তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আদায়ে নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া হাইকোর্টে দাখিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা হালনাগাদ করার জন্য সময় চাওয়ায় পরবর্তী আদেশের জন্য ২৯ নভেম্বর দিন ঠিক করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব জানান, বিটিআরসি চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালা দাখিল করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত ১৩ জুন এক আদেশে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

ওই দিন আদালতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘রেগুলেশন ফর ডিজিটাল অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মস’ বিষয়ে খসড়া নীতিমালা দাখিল করা হয়। এ ছাড়া বিটিআরসিও তাদের খসড়া আদালতে দাখিল করেছিলো।

২০২০ সালের ১৪ জুন ওয়েবভিত্তিক মিডিয়া সার্ভিস প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রকাশ করা দেশীয় সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধবিরোধী অনুপযোগী কনটেন্ট সরাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই আইনি নোটিশের কোনো ধরনের অগ্রগতি না দেখে ১২ জুলাই জনস্বার্থে আইনজীবী তানভীর আহমেদ রিট করেন।

পরে একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম নির্ভর কনটেন্ট প্রকাশের ওপর তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আদায়ে একটি খসড়া নীতিমালা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

এছাড়া আদালত রুলও জারি করেছিলেন। রুলে ওয়েব সিরিজ সংক্রান্ত সব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে অনৈতিক ও আপত্তিকর ভিডিও কনটেন্ট পরিবেশন রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ওটিটি নির্ভর বিভিন্ন ওয়েবপেজ প্ল্যাটফর্ম তদারকির জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য সচিব, সংস্কৃতি সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এরপর একটি খসড়া নীতিমালা করতে ৮ সদস্যের কমিটি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। পরবর্তী সময়ে বিটিআরসি খসড়া নীতিমালা আদালতে দাখিল করে।