ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেন ভূঁইয়া ‘মারা গেছেন’ বলে হলের বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি মারা যাননি। এ ‘মৃত্যু’ সংবাদকে চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন প্রভোস্ট। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে অধ্যাপক মকবুল হোসেনের ‘নিখোঁজ’ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে গেছিল পুরো ক্যাম্পাস।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেনের ‘মৃত্যু’ সংবাদ দিয়ে একটি ছবি পোস্ট করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেক নেটিজেনরা। এসব পোস্টে কেউ প্রভোস্টের ‘মৃত্যুর’ শোক না জানিয়েছে প্রশাসনিক কাজে ব্যর্থতার বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক মকবুল হোসেন বেঁচে আছেন। কিন্তু সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মকবুল হোসেন বেঁচে নেই। কারণ হলের শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়াসহ নানা সমস্যায় তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। হল প্রভোস্ট যদি বেঁচেই থাকতেন তাহলে তিনি এসব সমস্যা দেখে দিনের পর দিন চুপ থাকতে পারতেন না।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া মোবাইলফোনে বলেন, আমার নামে কে বা কারা ভিন্ন উদ্দেশ্যে এসব বিজ্ঞপ্তি লাগিয়েছে। আমি তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। দোষী কাউকে পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবো। হলে কোনো সমস্যা থাকলে শিক্ষার্থীরা আমাকে জানাবে। না জানিয়ে এসব করার পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ ধরনের কাজ হলো মূল্যবোধহীন রূঢ় তামাশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কোনো সদস্য এ ধরনের মূল্যবোধ পোষণ করে না। অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, এটা এ ধরনের কোনো একটা বিষয় হবে। শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে অভিযোগ জানাতে পারত।
প্রভোস্টের এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রভোস্টকে যদি হলেই পাওয়া যেতো তাহলে কী আর এসব পোস্টার লাগানো হতো?