জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কাল সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে শেষ প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে এই প্রথমবারের মত ভোট গ্রহন করা হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। এতে ভোট প্রয়োগে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কামনা করছেন ভোটাররা।
এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় প্রত্যেকটি কেন্দ্রে কঠোর ভূমিকা পালন করবে প্রশাসন। ভোট গ্রহনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত র্যাব, পুলিশ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। আজ বিকেলের মধ্যে প্রত্যেকেটি কেন্দ্রে প্রশাসনের লোকজন পৌছে যাবার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, গতকাল শনিবার মধ্য রাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করা হয়েছে।
জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ প্রার্থী। তারা হলেন, বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রাার্থী ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মোঃ শিবলী খায়ের ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নূরুল হক।
তাছাড়া উপজেলার ৯টি সাধারণ আসনে ৩০ ও সংরক্ষিত ৩টি আসনে ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে একমাত্র প্রার্থী আলাউর রহমান সাহেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে নির্বাচনকে ঘিরে শেষ প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটরদের মন জয় করতে রাত-দিন কাজ করেছেন তারা। ভোটারদেন দিচ্ছেন নান প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি মনোনীত এডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মোঃ শিবলী খায়ের মধ্যেই জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা। তাছাড়া নির্বাচনী মাঠে জোরালো ভাবে প্রচারনা চালাচ্ছেন কৃষকলীগ শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী এডভোকেট নুরুল হক। নির্বাচনে নিজের জয়ের সফলতার আশাবাদি তিনি।
সাধারণ ভোটাররা জানান, গত দুই মেয়াদে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন হলেও চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহন হয়নি। যে কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত বর্তমান আ'লীগের প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী। তবে এবার ভোটে মাঠে তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী। ভোটের মাঠে আরও দুই প্রার্থীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে থাকে।
জমজমাট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চান তারা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও অন্যান্য পদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন এমনটাই ভোটারদের প্রত্যাশা। যদিও ইভিএম পদ্ধতে ভোট দিতে তাদের সমস্যা দেখা দিতে পারে তারপরও ভোট প্রয়োগ করতে পারবে বলে আনন্দিত তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্টু নির্বাচন উপহার দিতে তৎপর ভ‚মিকা পালন করবে পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। প্রত্যেকটি উপজেলায় থাকবে প্রশাসনের নিরাপত্তা বেষ্টুনি। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে স্ব-স্ব কেন্দ্রে উপস্থিত হবে প্রশাসনের লোকজন।
হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদিকুল ইসলাম বলেন, 'জেলা পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। এবার ভোট গ্রহন করা হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯টি উপজেলাকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ৯টি কেন্দ্রে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলার পরিষদে ১ হাজার ৫শ ৭৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন'।