Can't found in the image content.
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
ক্রিকেটার
নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন জানিয়েছেন
মামলার বাদী রাকিব হাসান। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তিনি এ আবেদন করেন। রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি
বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) একটি প্রতিবেদন
দাখিল করেন। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেছি। আদালত
নথি পর্যালোচনায় আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর
আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার
নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে
(পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকা
মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ
মামলা করেন।
রাকিবের
আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর (রাকিব হাসান)
সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩ লাখ এক টাকা দেনমোহরে
বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন।
তাদের তোবা হাসান নামে এক মেয়ে রয়েছে। যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।
মামলা
সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত
রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে
জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হইলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে
রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।
মামলায়
বলা হয়, ‘চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২ নং আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত
বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এই ধরনের
ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত
হন।’
এ
ছাড়া তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি
সম্পন্ন হয়। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।
মামলার
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের
সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান যে সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে
তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার
নাসিরকে বিয়ে করা যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামির সঙ্গে তিনি অবৈধ
বিয়ের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যভিচার।’
অভিযোগে
আরও বলা হয়, ‘আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশু কন্যা মারাত্মকভাবে
মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে বাদীর চরমভাবে মানহানি হয়েছে যা
বাদীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’