ওবায়দুল কাদের যদি ইসির সঙ্গে বসে নির্বাচন দেখতেন, তিনিও বুঝতেন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন কি হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বেলা আড়াইটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি আরও বলেন, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধে হঠকারি কিছু করেনি কমিশন। নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে।’
সিইসি বলেন, দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের অবস্থা একই রকম দেখা যায়। এরই মধ্যে রিটার্নিং অফিসার একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে গাইবান্ধা-৫ আসনের পরবর্তী নির্বাচন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আরও জানেন যে আমারা দায়িত্ব গ্রহণের পর যতগুলো নির্বাচন করেছি সবগুলো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।
সব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিসিটিভি স্থাপনের ফলে এই অপরাধ একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল। তারই আলোকে এবং গাইবান্ধা- ৫ আসনের উপ-নির্বাচনের গুরুত্বের কারণে এখানেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
গতকাল সকাল আটটায় যথারীতি ভোট শুরু হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, আগারগাঁওয়ে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে আমিসহ অন্যান্য কমিশনাররা, দায়িত্ব পালনকারী সচিবালয়ের কর্মকর্তারা ও কারিগরি সহায়তাকারী ও মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।