ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জুলাই ৯, ২০২৪ |

EN

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা রাশিয়ার

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ১২, ২০২২

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা রাশিয়ার

ফাইল ছবি

ইউক্রেনে সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার ফোনে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকরের সঙ্গে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সিরিয়া ইস্যু এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় তাদের।

ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর নিজস্ব প্রতিরক্ষা জোরদারের জন্য বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকের আগের দিনই এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হলো।

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুশ মন্ত্রীকে বলেছেন, আরও প্রাণহানি রোধ এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে জরুরিভিত্তিতে একটি যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার।

দুই মন্ত্রী গত ২২ জুলাই তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ইস্তাম্বুল শস্য চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন। ওই চুক্তির মধ্য দিয়ে নিজ দেশের কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দর থেকে পুনারায় শস্য রফতানি শুরুর সুযোগ পায় ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বন্দরটি ব্যবহার করে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এদিকে সোমবার রাশিয়ার সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের তরফেও তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। এ সময় রুশ হামলার পর নিজ দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি।

টুইটারে দেওয়া পোস্টে দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ফোনালাপে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মেভলুত কাভুসোগলু। একইসঙ্গে ইউক্রেনের প্রতি আঙ্কারার সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

এ মাসের গোড়ার দিকে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় সংযুক্তিকরণের কঠোর সমালোচনা করে তুরস্ক। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মস্কোর সিদ্ধান্ত ‘আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিষ্ঠিত নীতির গুরুতর লঙ্ঘন। এটি অগ্রহণযোগ্য।’ আঙ্কারা বলছে, মস্কোর এই পদক্ষেপ তারা প্রত্যাখ্যান করছে, যেভাবে ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলকেও তুরস্ক স্বীকৃতি দেয়নি।