আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, নিজেদের মধ্যে বিভেদ নয়। মনে রাখতে হবে আমাদের প্রকৃত শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু বিএনপি-জামায়াত।
তিনি বলেন, জিয়ার ক্ষমতার উৎস ছিল ক্যান্টনমেন্ট। আর আমাদের ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। বিএনপি জনগণের কাছে ভোট চাইতে ভয় পায়, তাই তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
মঙ্গলবার বিকালে হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ পরশ এসব কথা বলেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিএনপি যদি সহিংসতা করে তাহলে আমরাও শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।
জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে ও বোরহান উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, গাজী মো. শাহনওয়াজ এমপি উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। এ সময় জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৮ বছর পর সম্মেলন আয়োজন করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনার শেষ ছিল না।
এবারের সম্মেলনে শফিকুজ্জামান হিরাজ ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলামসহ ৪ জন সভাপতি এবং আব্দুর রহিম কাউসার ও ডা. ইশতিয়াক রাজসহ ৮ জন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন।
সম্মেলনে নেতাকর্মীরা নিজেদের পক্ষের প্রার্থীদের পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের সতর্ক করেন যেন নিজেদের নামে স্লোগান না দেন। জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী ও যুবলীগ চেয়ারম্যান ব্যতিত কারো নামে স্লোগান না দিতে বলা হয়। সম্মেলন শুরুর পূর্বে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলেও নেতাকর্মীরা তা উপেক্ষা করেই সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকা ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে। নিকট অতীতে জেলা সদরে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে এত ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে পড়তে নেতাকর্মীরা এমন আয়োজন করেন।