ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

নাইজেরিয়ায় বন্যাদুর্গতদের বহনকারী নৌকাডুবি, নিহত ৭৬

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ১০, ২০২২

নাইজেরিয়ায় বন্যাদুর্গতদের বহনকারী নৌকাডুবি, নিহত ৭৬

ছবি: সংগৃহীত

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ এক নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই বন্যাদুর্গত মানুষ এবং বন্যার পানি থেকে বাঁচতে নৌকায় করে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে নৌকাটি ডুবে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আনামব্রায় এই ঘটনা ঘটে। সোমবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় আনামব্রা প্রদেশের ওগবারু এলাকায় নৌকাডুবির এই ঘটনা ঘটে এবং দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটিতে কমপক্ষে ৮০ জন আরোহী ছিলেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মূলত নিজেদের এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার পর নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য ওই নৌকায় উঠেছিলেন তারা।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ বুহারি ‘মর্মান্তিক’ এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি দেশের পানি পরিবহন ব্যবস্থাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, নিখোঁজদের জন্য জরুরি পরিষেবাগুলোকে অবশ্যই সবকিছু করতে হবে।

এছাড়া ‘ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো নিশ্চিত করতে পানি পথে চলাচলে সুরক্ষা প্রোটোকল পরীক্ষা করার জন্য’ সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বুহারি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নৌকাটি ডুবে যাওয়ার আগে সেটিতে থাকা বন্যাদুর্গত মানুষেরা ওগবাকুবার নকো বাজারে যাচ্ছিল। কিছু কর্মকর্তা জানান, নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার আগে একটি সেতুতে আঘাত হানে।

ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির দক্ষিণ-পূর্ব সমন্বয়কারী থিকম্যান তানিমু বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন: ‘ঘটনাস্থলে পানির স্তর খুব বেশি এবং সেখানে ভালোভাবে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’।

আনামব্রার গভর্নর চার্লস সোলুডো বলেছেন, দুর্ঘটনাটি তার প্রদেশের বাসিন্দাদের এবং প্রাদেশিক সরকার উভয়ের জন্যই বিস্ময়ের। নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিবিসি বলছে, নাইজেরিয়ায় নৌকা দুর্ঘটনা তুলনামূলকভাবে সাধারণ ব্যাপার। যদিও বেশিরভগ দুর্ঘটনার জন্য অতিরিক্ত আরোহী পরিবহন বা দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দায়ী করা হয়।