পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শনিবার ইসরায়েলি সেনারা জেনিনে ইসলামিক জিহাদের এক বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এ সংঘর্ষ বাধে বলে তেল আবিবের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একইদিন পশ্চিম তীরের কাছে, জেরুজালেমের উপকণ্ঠে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির শুয়াফাতের প্রবেশপথে থাকা চেকপয়েন্টে ফিলিস্তিনি এক বন্দুকধারীর হামলায় এক নারী সেনা নিহত ও এক নিরাপত্তা রক্ষী গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বন্দুকধারীকে ধরতে অভিযান চলছে।
এই ঘটনার আগে জেনিনে ইসলামিক জিহাদের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনারা পাল্টা গুলির মুখে পড়ে; তাদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরকও ছোড়া হয়।
সংঘর্ষে ১৬ ও ১৮ বছর বয়সী দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন।
জেনিনে এখন প্রতিদিনই সংঘাত-সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, যা আগামী ১ নভেম্বর ইসরায়েলে হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে পশ্চিম তীরের অস্থিতিশীল নিরাপতা পরিস্থিতি নিয়ে তেল আবিবের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
জাতিসংঘের মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড এ সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সবাইকে সংযত হতে আহ্বান জানিয়েছেন।
পশ্চিম তীর, গাজা ও পূ্ব জেরুজালেম নিয়ে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলা শান্তি আলোচনা ২০১৪ সালে ভেস্তে যায়, এরপর থেকে সেই আলোচনা ফের শুরুর কোনো লক্ষণও দেখা যায়নি।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর ভাষ্য, সহিংসতা নিরসনে আব্বাসের প্যলেস্টিনিয়ান অথরিটির (পিএ) আরও অনেক কিছু করার আছে।
অন্যদিকে পশ্চিম তীরে ক্রমশ অজনপ্রিয় হতে খাকা পিএ বলছে, তাদের দুর্বল করছে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশ।
ইসরায়েলের সেনারা এখন যে ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করলে তা হবে ইসরায়েলি সরকারের ‘বিভ্রম’, এক বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ।