Can't found in the image content. বিপ্লবী চে গুয়েভারার ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

বিপ্লবী চে গুয়েভারার ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফিচার ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, অক্টোবর ৯, ২০২২

বিপ্লবী চে গুয়েভারার ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ৯ অক্টোবর, বিপ্লবী চে গুয়েভারার ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৭ সালের এই দিনে বলিভিয়ার শহর লা হিগুয়েরাতে দেশটির সেনাবাহিনী তাকে হত্যা করে। 

বিপ্লবের অগ্নি পুরুষ ও গেরিলা নেতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে আজও এই মহান বিপ্লবীর নামই ধ্বনিত হয়। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের অন্যতম তিনি। মৃত্যুর পর তার শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন বিপ্লবের মুখচ্ছবি হিসেবে বিশ্ব প্রতীকে পরিণত হয়।

কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে সফল বিপ্লবের পর আরেকটি বিপ্লবের প্রত্যয় নিয়ে বলিভিয়ায় গিয়েছিলেন চে গুয়েভারা। সেখানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) মদদপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন তিনি। পরে তারা গুলি করে হত্যা করে এই মহান বিপ্লবীকে। তবে চে গুয়েভারাকে হত্যা করা গেলেও তার আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। মৃত্যুর পর তিনি সমাজতন্ত্র অনুসারীদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হন।

মৃত্যুর আগে তিনি বন্দী অবস্থায় হ্যান্ডকাফ পরিহিত হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বলেছিলেন- ‘আমি জানি তোমরা আমাকে মারতে এসেছ। কাপুরুষ গুলি করো। তোমরা একজন মানুষকে হত্যা করছ মাত্র। বিপ্লবের মৃত্যু নেই।’

মৃত্যুর ৫১ বছর পরেও টাইম পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়। আবার গেরিলা যোদ্ধার পোশাকে ১৯৬০ সালের ৫ মার্চ ‘গেরিলেরো হেরোইকো নামে’ আলবার্তো কোর্দার তোলা চে-র বিখ্যাত ফটোগ্রাফটিকে ‘বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ ফটোগ্রাফ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ইতিহাসের নন্দিত বিপ্লবী চরিত্রের চে গুয়েভারা ১৯২৮ সালের ১৪ জুন আর্জেন্টিনার সান্তা ফে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম আর্নেস্তো গুয়েভারা দে লা সের্না। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ডাক্তার। তারপরেও চে গুয়েভারা ছিলেন একাধারে বিপ্লবী, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ ও সমরবিদ। 

যুবক বয়সে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছায় ভর্তি হন মেডিসিন বিষয়ে। ভালোই চলছিল তার ডাক্তারি পড়াশোনা, ব্যক্তিগত জীবন আর প্রেম। বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ মোটরসাইকেলে বের হলেন নিজ ভূখণ্ড ভ্রমণে। এ ভ্রমণ আর্নেস্তোকে বঞ্চিত মানুষদের ‘চে’ বা ‘বন্ধু’তে পরিণত করে।

দীর্ঘ এ মোটরসাইকেল ভ্রমণে আর্নেস্তো একদিকে যেমন দেখেন নিম্নশ্রেণির মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, বঞ্চনা, নিপীড়ন; আর অন্যদিকে দেখেন শাসকের দুর্বৃত্তায়ন, শোষণ, অত্যাচার। এ বোধ থেকেই শুরু করেন মানব মুক্তির লড়াই। চে গুয়েভারা ছিলেন কিউবা বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব।