মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আসছে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এতে প্রায় এক হাজারের বেশি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে শূন্য পদের তালিকা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদ দ্বিতীয় গ্রেডের পদমর্যাদা হওয়ায় এ নিয়োগ পরীক্ষা সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন জানান, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য শূন্য পদের চাহিদা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে পিএসসি পাঠানো হবে। মোট ১২টি বিষয়ে এক হাজার ৯৯টি শূন্য পদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা জানান, নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ৫৫২ পদে সরকারি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পিএসসি। আর বাকি পদগুলো নন-ক্যাডার থেকে সুপারিশ করা হবে।
তিনি আরও জানান, মূলত তিন পার্বত্য জেলা ও বেশিরভাগ উপজেলায় সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ বেশি। ১২ পদের মধ্যে রয়েছে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্ম, ভৌত বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ভূগোল, চারুকলা, শারীরিক শিক্ষা ও কৃষি শিক্ষা।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সরকারি বিদ্যালয়) মো. ইমামুল হক বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য মাউশি থেকে শূন্য পদের চাহিদা পেয়েছি। সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এখন প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজ শেষ করে তা পিএসসিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আশা করছি এ বছরের মধ্যেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষক নিয়োগের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু সাইদ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। শিক্ষক সংকট থাকলে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। তাই যত শিগগির নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে ততই তা ইতিবাচক।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক সংকট থাকায় অনেক বিদ্যালয়ে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আশা করি নতুন শিক্ষক নিয়োগে এ সংকট দূর হবে।
জানা যায়, সহকারী শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করার পর এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পিএসসি। সহকারী শিক্ষক পদের ৫৫ শতাংশ সরাসরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের বিধান রয়েছে। অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথচ ক্যাডার পাননি, তাদের মধ্য থেকে মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী উত্তীর্ণদের অনাপত্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।