বাংলাদেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কার্যক্রম আবার শুরু হচ্ছে। তবে তার আগে আজ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগে ব্যবসা বন্ধের পর এই প্রথম কোনো সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন ই-কমার্স এই প্রতিষ্ঠানের কেউ।
আজ বিকেল ৫টায় অনলাইনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল এখনও কারাগারে। তবে তার স্ত্রী, শাশুড়ি এবং আরেকজন নিকটাত্মীয়কে নিয়ে নতুন বোর্ড গঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান, যিনি একই মামলায় জেল খেটে গত এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
এর আগে বলা হয়েছিল নতুন বোর্ড গঠনের পর চালু হবে সার্ভার। অনলাইনে পণ্য অর্ডার করতে পারবেন গ্রাহক। পাশাপাশি এসক্রোতে আটকে থাকা টাকা আগামী ১ নভেম্বর থেকে রিফান্ড হবে।
পাওনা টাকা কিংবা পণ্যের দাবিতে গ্রাহকদের বিক্ষোভের জের ধরে গত বছর একুশে সেপ্টেম্বর নিজেদের অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছিল ইভ্যালি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে তখন ইভ্যালির দেনা ছিল ৫৪৩ কোটি টাকা, আর এর গ্রাহক ছিল দুই লাখেরও বেশি।
আদালন নিযুক্ত শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের পর্ষদ অনেক চেষ্টা করেও পার্সওয়াড না থাকায় ইভ্যালির সার্ভার খুলতে পারেনি। জেলে থাকা প্রতিষ্ঠানের সাবেক সিইও মোহাম্মদ রাসেলের কাছে পার্সওয়াড চাইলে ভুলে গেছেন বলে জানান। ফলে কোনোভাবেই সার্ভারটি খুলতে পারেনি মানিকের পর্ষদ। এ কারণে গ্রাহকদের পাওনা এবং সম্পদের তথ্যও পুরোপুরি পায়নি অডিট ফার্ম।