ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

পরিবেশ রক্ষায় ব্যাস্ত পরিবেশ অধিদপ্তর

বিশেষ প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২

পরিবেশ রক্ষায় ব্যাস্ত পরিবেশ অধিদপ্তর
প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান চলছে। পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তর, ঢাকার এবং দেশের বিভিন্ন জেলার মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং কর্তৃক মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

২৫ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পরিবেশ দূষণের অপরাধে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহের ৬ টি কারখানার মালিককে ৩৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭৭৬ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। একই দিন পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয় কর্তৃক কক্সবাজারের ৬ টি হোটেলের মালিককে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। আর সেদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শব্দদূষণের অভিযোগে জামালপুরে ৪ টি গাড়ীর চালককে ৪ হাজার টাকা,  পাবনায় ২টি গাড়ীর চালককে ১ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়, বরিশালে নদী ভরাটের কারণে জেলার দক্ষিন চর আইচা তে একটি প্রতিষ্ঠান কে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।

পরদিন, ২৬ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীর নেতৃত্বে জামালপুর ও ময়মনসিংহের ৬টি ইটভাটার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়, সিলেটে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। এদিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যশোরের অভয়নগর এলাকায় অবৈধ কাঠকয়লার তৈরী ৪৩ টি চুল্লী নষ্ট করে কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে, গাড়ীর শব্দদূষণের জন্য ১৭ টি গাড়ীর চালককে ২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ টি গাড়ীর চালককে ৭ হাজার টাকা জরিমানা, নড়াইল এর লোহাগড়া কালকা এলাকায় ৯ টি ট্রাক ও কাভার্ট ভ্যানের চালককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, পাবনায় ২ টি গাড়ীর চালককে ১ হাজার ৫ শত টাকা; গাজীপুরের ২ টি গাড়ীর চালককে ১ হাজার টাকা এবং একটি ব্যাটারী থেকে সীসা তৈরীর কারখানাকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় এবং ১ টি কাঠ থেকে কয়লা তৈরীর কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। ময়মনসিংহের ৭ টি ডায়াগনস্টিক এর মালিক কে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। আর চট্টগ্রামে ১৮০০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে এবং সিলেটে টিলা কর্তনের দায়ে ২ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

তারপর ২৭ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীর নেতৃত্বে জামালপুর ও ময়মনসিংহের ৬টি অবৈধ ইটভাটার বন্ধ করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭ টি গাড়ীর চালককে ৩ হাজার ৭০০ টাকা, জামালপুল ও টাঙ্গাইল এ ৫ টি ট্রাক ও কাভার্ট ভ্যানের চালককে ৯ হাজার ৫০০ টাকা, নরসিংদীতে ১ টি ইটভাটাকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। এদিকে সিলেটে অবৈধভাবে পলিথিন শপিং ব্যাগ বিক্রির অপরাধে ৫ টি দোকানের মালিককে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, একই অপরাধে বাগেরহাটে ২ টি দোকানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় এবং ৫০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।

ধারাবাহিকভাবে ২৮ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীর নেতৃত্বে টাঙ্গাইলের ৮টি ইটভাটার কায়ক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান এবং নারায়ণগঞ্জের ১ টি কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দয়ো হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা পরিবেশ দূষণের অপরাধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ১ টি বাড়ীর মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়েছে, এছাড়া শব্দদূষণের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কুড়িগ্রাম ও কুমিল্লায় ১৪ টি গাড়ীর চালককে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২২ টি হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এদিকে টাঙ্গাইলে ১টি ইটভাটা থেকে ৫০ হাজার টাকার ইট জব্দ করা হয়েছে।

শেষ ২৯ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা পরিবেশ দূষণের অপরাধে আদাবরের ১ টি বাড়ীর মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করেন। আর শব্দদূষণের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায় ১০টি গাড়ীর চালককে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৩৯ টি হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম জানান, তাদের এই কার্যক্রম  অব্যাহত থাকবে।