Can't found in the image content. আদালতে ভুয়া সাক্ষ্য দিতে এসে ১১ জন শ্রীঘরে | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

আদালতে ভুয়া সাক্ষ্য দিতে এসে ১১ জন শ্রীঘরে

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২

আদালতে ভুয়া সাক্ষ্য দিতে এসে  ১১ জন শ্রীঘরে
গোপালগঞ্জে একটি মামলায় ভুয়া ভিকটীম সেজে সাক্ষ্য দিতে এসে ধরা পড়ায় শহিদুল শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তিসহ বাদী ও আসামী পক্ষের ১১ জনকে শ্রীঘরে পাঠালো আদালত।এসময় ওই মামলার বাদী মোঃ তারা মিয়া এজলাস থেকে পালিয়ে যান।

মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ভুয়া সাক্ষী শহীদুল শেখ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ডাঙ্গাদুর্গাপুর গ্রামের সফিউদ্দিন শেখের ছেলে।

এঘটনায় সিজেএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ জামিল আহমেদ বাদী হয়ে ভুয়া সাক্ষীসহ বাদী ও আসামী পক্ষের ১২ জনকে আসামী করে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে মুকসুদপুর উপজেলা ডাঙ্গাদুর্গাপুর গ্রামে জমিজায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাইফুল শেখকে মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এব্যাপারে ভিকটীমের চাচা মোঃ তারা শেখ বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা  ( নং জি আর-১৮/২০২০) দায়ের করেন।
মঙ্গলবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য্য ছিল। মামলার সাক্ষী মূল স্বাক্ষী সাইফুল শেখ অনুপস্থিত থাকায় বাদী ও আসামী পক্ষের যোগসাজসে তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম সাক্ষ্য দিতে কাঠগড়ায় ওঠেন।

সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য জবানবন্দি গ্রহণকালে আদালতে বিচারক সাক্ষীর নাম জিজ্ঞাসা করলে সে প্রথমে তার নাম শহিদুল শেখ বলেন। তৎক্ষনাৎ আবার তার নাম সাইফুল শেখ মর্মে বলেন। এতে আদালতের সন্দেহ হলে সাক্ষীর আইডি কার্ড দাখিলের নির্দেশ প্রদান করলে তৎক্ষনাৎ সাক্ষী সাক্ষী জানায় তিনি সাইফুল শেখ না। প্রকৃত পক্ষে তিনি হলেন শহীদুল শেখ।

উক্ত মামলায় এজাহারকাকারী মোঃ তারা শেখ তার ভাইয়ের ছেলে শহীদুল শেখকে সাক্ষী সাইফুল শেখ উল্লেখ করে আদালতে উপস্থাপন করেছেন বলে অতিরিক্ত পিপি এম এ হাইও আদালতকে জানান। পরস্পরের যোগসাজসে আদালতে ভুয়া নাম ব্যবহার করে শহীদুল শেখ আদালতে প্রতারনার আশ্রয়গ্রহন করে ডকে ওঠে মিথ্যা পরিচয়ে শফথ বাক্য পাঠ করে দঃবি ১৯৩/১৯৬/২০৫/৪১৯/১০৯ ধারায় অপরাধ করেছেন।

ফলে আদালতের বিচারক ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাহাদাত হোসেন ভুইয়া ভুয়া সাক্ষী, বাদী ও আসামীসহ ১২ জনকে জেল হাজতে পাঠাতে এবং ওই ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি পৃথক মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন।