চীন, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপের পর এবার ভুটানে সিগারেট রপ্তানি করতে চায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। এজন্য সিগারেট রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় কোম্পানিটি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে এই সংক্রান্ত একটি আবেদন দিয়েছেন বিএটির হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স শেখ শাবাব আহমেদ। আবেদনে মন্ত্রণালয়কে ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) জন্য স্থানীয় তামাকজাত পণ্য তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভুটানে শুল্কমুক্ত সিগারেট বিক্রি করছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ ভারত।
কোম্পানির তথ্য মতে, প্রায় ৩০ বছর ধরে শুকনো তামাক পাতা রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এতে বছরে ৮৫ মিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। তবে সরকার সিগারেট রপ্তানির অনুমতি দিলে আগামী দুই বছরে দেশের রপ্তানি আয় হবে ১০০ মিলিয়ন ডলার।
নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ২০২১ সালে সাভারে নতুন কারখানা তৈরির কাজ শুরু করে। এতে বিনিয়োগ হয়েছে ১৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিতে সরকারের মালিকানা রয়েছে ৯ শতাংশ।
গত বছর শেয়ারহোল্ডারদের ২৭৫ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২৭ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএটি। তার আগের বছর দিয়েছিল ৬০০ শতাংশ লভ্যাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৬০ টাকা করে মুনাফা।
এদিকে ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে গত ডিসেম্বরে পিটিএ স্বাক্ষরিত হয়, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে, বিভিন্ন কারণে পিটিএ চলতি বছরের শেষ নাগাদ কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
গত আগস্টের শুরুর দিকে, দুই দেশের মধ্যে আগের চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ আরও ১৬টি ভুটানি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে। গত ৪ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, বাংলাদেশ একটি পিটিএ'র অধীনে ভুটানের ৩৪টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়। বলা হয়েছিল, দুধ, প্রাকৃতিক মধু, গমের আটা, জ্যাম, ফলের জেলি, মার্বেল শিট, সিমেন্ট ক্লিংকার, পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, সাবান, পার্টিকেল বোর্ডসহ ১৬টি পণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক বা কর আরোপ করা হবে না।