বাংলা ভাষা-সাহিত্য আর বিদ্যাসাগর, যেনো একে অপরে পরিপূরক। বেদান্ত শাস্ত্র, তর্ক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানসহ নন্দনতাত্ত্বিক সমাজ গঠনের অগ্রদূত তিনি। চিন্তায় অগ্রগামী এই জ্ঞানতাপসের জন্মদিন আজ।
যিনি ছিলেন দয়ার সাগর তিনিই আবার সমাজ সংস্কারক। ঘুণেধরা সমাজের রন্ধ্রে আঘাত করে হয়েছেন সমালোচিত। আবার মহত্ব দিয়ে, শিক্ষা আর সমাজে এনেছেন আধুনিকতা। সর্বোপরি বাংলা সাহিত্যের শাখা প্রশাখায় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তিনি হয়েছিলেন যুগস্রষ্টা।
তিনি বাংলায় নবজাগৃতির অগ্রদূত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ১৮২০ সালের আজকের এই দিনে (২৬ সেপ্টেম্বর) অবিভক্ত ভারতের মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮২৯ সালে সংস্কৃত কলেজে ভর্তির পর পাল্টে যায় জীবনের গতি।
শিক্ষকতা দিয়ে জীবন শুরু। রচনা করেন বাংলা ভাষার প্রথম বর্ণ পরিচয়। পাঠ্যক্রমে আনেন যুগোপযোগী পরিবর্তন। বাধ্যতামূলক করেছিলেন ইংরেজি শিক্ষা।
দর্শন আর অর্থশাস্ত্রের উপর জোর দেন বিদ্যাসাগর। বাল্যবিবাহ রোধ করে নারীশিক্ষায় গুরুত্ব দেন। সতীদাহ বন্ধ করে বিধবাবিবাহ শুরু করা ছিল বিদ্যাসাগরের আরেক চ্যালেঞ্জ।
দয়া কিংবা বিদ্যারসাগর ছিলেন আধুনিক বাংলা ব্যাকরণের প্রবর্তক ঈশ্বরচন্দ্র। ১৮৯১ সালে নক্ষত্রলোকে পাড়ি জমান বহুমূখী প্রতিভার ঈশ্বরচন্দ্র।