যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ‘বৈরি শক্তির’ বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্য পূরণে’ গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়া বলেছে, কখনোই রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করেনি, এমন কী ভবিষ্যতে করার কোনো পরিকল্পনাও তাদের নেই।
অস্ত্রভাণ্ডারের ঘাটতি পূরণে মস্কো পিয়ংইয়ংয়ের দ্বারস্থ হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিবেদনের প্রতিবাদে তারা এ কথা বলেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে রকেট ও কামানের গোলা কিনতে পারে বলে আগে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন।
রাশিয়া ইরান থেকে অস্ত্র কিনছে বলে খবর বেরিয়েছে, তার সঙ্গে উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র কেনার পদক্ষেপে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা যে ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে, তাই দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তারা।
মস্কো সেসময় এ ধরনের সব খবর অস্বীকার করেছিল। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়া অস্ত্র লেনদেন করলে, তা হবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার লংঘন।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনামা এক কর্মকর্তা দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএকে বলেছেন, আগে কখনোই আমরা রাশিয়ায় অস্ত্র বা গোলাবারুদ পাঠাইনি, পাঠানোর পরিকল্পনাও করছি না আমরা।
বৃহস্পতিবার কেসিএনএ তার এ উদ্ধৃতি প্রকাশ করে। উত্তর কোরিয়ার এ গণমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ‘বৈরি শক্তির’ বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্য পূরণে’ গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়া যেসব অস্ত্রশস্ত্র কিনছে ‘তার মধ্যে লাখ লাখ রাউন্ড রকেট ও কামানের গোলা থাকতে পারে’।
ওই মন্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে পরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে রাশিয়ার অস্ত্র ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি এবং সেসব অস্ত্রশস্ত্র ইউক্রেইন যু্দ্ধে ব্যবহৃত হবে এমন ইঙ্গিতের সপক্ষে কোনো প্রমাণও মেলেনি।
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে শুরু করা ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ জন্য রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেইনে হু হু করে ঢোকা পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের সহায়তায় কিইভবাহিনী মস্কোপন্থিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।
উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশ রুশ-নকশার অস্ত্রশস্ত্র সোভিয়েত যুগের; তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ মিলও আছে।