Can't found in the image content. টুইটারে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ায় যে দুই দেশ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

টুইটারে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ায় যে দুই দেশ

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২

টুইটারে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ায় যে দুই দেশ

ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মুসলিমবিরোধী যত পোস্ট দেখা যায়, তার প্রায় ৮৬ শতাংশ আসে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইসলামিক কাউন্সিল অব ভিক্টোরিয়ার (আইসিভি) একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মিডল ইস্ট আই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৮ আগস্ট ২০১৯ থেকে ২৭ আগস্ট ২০২১ এই দুই বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারত থেকে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৭৯টি মুসলিমবিরোধী টুইট বা পোস্ট করা হয়েছে। 

তারপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে যথাক্রমে করা হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৪৮টি এবং ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৬টি টুইট। ‘ডিজিটাল যুগে ইসলামোফোবিয়া’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে এই তিন দেশের ইসলামোফোবিয়ার কিছু সাধারণ কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। 

ভারতের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষকে স্বাভাবিককরণের ফলে সেখানে ইসলামোফোবিয়া ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকেই বিষয়টি ছিল। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদী ও উত্তেজক কথাবার্তা, বক্তৃতার কারণে সেখানে ইসলামবিদ্বেষ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

অন্যদিকে প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের ব্যাপারে বলা হয়েছে, দেশটিতে ইসলামোফোবিয়ার অনেকগুলো কারণ ছিল। এর মধ্যে সমমনা দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী কথাবার্তার প্রভাব, অভিবাসীবিরোধী মনোভাব নিয়ে দেশটির দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নিয়মিত বর্ণবাদী আচরণ ও কথাবার্তার প্রভাব ছিল বেশি।

উল্লেখিত দুই বছরে টুইটারে কমপক্ষে ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৮০টি মুসলিমবিরোধী পোস্ট করা হয়েছিল। পোস্ট করার প্রায় এক বছর পরও সেসব টুইটের ৮৫ শতাংশ অনলাইনে রয়ে গিয়েছিল। টুইটার থেকে মাত্র ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ টুইট সরানো হয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টুইটার মুসলিমবিরোধী বিষয়বস্তু অপসারণে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি আশ্চর্যজনক যে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসব পোস্টকে চিহ্নিত করে না বরং এ সবের ব্যাপারে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করা হলে তারা এ বিষয়ে কাজ করে। আবার এসব বিষয় তাদের নজরে আনা হলেও মাত্র ৩ শতাংশ টুইট মোছা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যেসব বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মুসলিমবিরোধী টুইট দেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের সাথে ইসলামের সম্পর্ক, মুসলিম পুরুষদের যৌন সহিংসতার জন্য দায়ী করা এবং মুসলমানরা অন্যদের ওপর শরিয়া আইন আরোপ করতে চায় এমন আশঙ্কা।

এ অবস্থা মোকাবেলায় আইসিভি বেশ কিছু পদক্ষেপের সুপারিশ করে। যেমন- যেসব প্ল্যাটফর্ম ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধে কাজ করতে ব্যর্থ সেগুলোর জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা, ভারত সরকারকে মুসলিমবিরোধী বক্তব্য বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া, টুইটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ ধরনের পোস্ট চিহ্নিত করা ও মুছে ফেলা এবং এসবের সার্বিক তদারকির জন্য একটি স্বাধীন তদারকি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা।