বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। মারাত্মক এই অসুখের কারণে মৃত্যুর ঘটনাও কম নয়। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে সতর্কতার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের বাহক হচ্ছে ইজিপ্টাই মশা। এই মশার কামড়ের কারণে দেখা দেয় ডেঙ্গু। এক্ষেত্রে সব এডিস মশা নয়, বরং সংক্রামিত এডিস মশা কামড়ালে ডেঙ্গু হয়ে থাকে।
মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ ভাইরাস থেকে হয়। সুস্থ মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রামিত হলে শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ ফুটে ওঠে। প্রতিবছরই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যায়। এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। সচেতন হলে ডেঙ্গু থেকে বাঁচা সম্ভব। ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বিশেষভাবে সতর্ক করেছে।
সিডিসির সতর্কবার্তা অনুসারে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলো-
* মাথা ব্যথা
* চোখের পেছনে ব্যথা
* পেশি, জয়েন্ট ও হাড়ে ব্যথা
* বমি বা বমি ভাব ইত্যাদি।
সিডিসি বলছে, ডেঙ্গু গুরুতর হলে দেখা দিতে পারে-
* পেটে ব্যথা
* দিনে ৩ বারের বেশি বমি
* মাড়ি ও নাক দিয়ে রক্ত পড়া
* বমিতে রক্ত
* অতিরিক্ত দুর্বলতা।
ডেঙ্গুর কোনো ওষুধ নেই। তাই জোর দিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতি। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সিডিসি জানাচ্ছে-
* বাড়িতে মশা থাকলে তা নিধন করতে হবে। মশা মারার বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। যেসব পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই সেগুলো বেছে নিন। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপায় বাদ দিতে হবে।
* এসময় চেষ্টা করুন ফুলহাতা জামা পরে থাকার। সেইসঙ্গে পরুন ফুলপ্যান্ট। এতে মশা সহজে কামড় বসাতে পারবে না।
* ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাবেন। এতে মশার কামড় থেকে বাঁচা সহজ হবে।
* ঘরের পাশাপাশি খেয়ালও রাখতে হবে বাইরের পরিবেশের প্রতি। বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে জমে থাকা পানি যত দ্রুত সম্ভব ফেলে দিন। টব, ঘরের কার্নিশ বা অন্যান্য জায়গা পরিষ্কার করে রাখুন। মশার লার্ভা জমে থাকতে দেখলে নষ্ট করুন।