ভারতের চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী হোস্টেলের প্রায় ৬০ ছাত্রীর গোসল করার দৃশ্য গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনার জেরে শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ।
এবার ভিডিওকাণ্ড নিয়ে বেরিয়ে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনায় আটক ছাত্রীকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত দুই যুবক বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে তা নেটমাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন এক ছাত্রী, তার ২৩ বছর বয়সী ‘প্রেমিক’ ও ৩১ বছর বয়সী এক যুবক।
সূত্রের খবর, হোস্টেলের স্নানঘরের ছাত্রীদের ভিডিও না পাঠালে তার ব্যক্তিগত ভিডিও ভাইরাল করা হবে বলে আটক ছাত্রীকে ‘হুমকি’ দিতেন ওই দুই যুবক।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হোস্টেলের এক আবাসিক অন্য আবাসিকদের আপত্তিকর ভিডিও তোলেন বলে অভিযোগ ওঠে। কমপক্ষে ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য ভিডিও করার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। ওই ভিডিওগুলো নেটমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি, এর জেরে আট ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে দাবি করা হয়।
গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে এই অভিযোগ ঘিরে হুলস্থুল পড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যদিও পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে, একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে এবং আত্মহত্যার চেষ্টা কোনও ছাত্রী করেননি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার মধ্যরাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্রীরা। সোমবার রাতে সেই বিক্ষোভ থামে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ সি ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারাও যোগ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে এক ছাত্রীকে প্রথমে আটক করে পুলিশ। ভিডিও তৈরির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর পরই তার ২৩ বছর বয়সী এক বন্ধুকে আটক করা হয়। তিনি ছাত্রীর ‘প্রেমিক’ বলে দাবি করা হয়েছে। ওই যুবকের এক বন্ধুকেও (৩১) আটক করেছে পুলিশ। আটক তিন জনের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।