শিবির সন্দেহে আটক হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সেই ১১ শিক্ষার্থীর মধ্যে আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০ শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই। আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর এসব শিক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল।
প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, তাঁরা যেহেতু জামিনে রয়েছে, তাই তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিবির সন্দেহে আটক হওয়া জগন্নাথের শিক্ষার্থী ছিলো ১১ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন আবেদন করেছে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতির জন্য। একজন যেহেতু আবেদন করেনি তাই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ক্লাস পরীক্ষার অনুমতি পাওয়া ১০ শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. রওসন উল ফেরদৌস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. ওবায়দুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. শাহিন ইসলাম ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি।
এদিকে সংগীত বিভাগের আল-মামুন রিপন সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পর আবেদন করায় তার বিষয়টি পরবর্তী সিন্ডিকেটে উঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ মধ্যরাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধূপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। এরপর গত ৪ এপ্রিল দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।