Can't found in the image content. রাশিয়ার গ্যাসের চালান ফিরিয়ে দিয়েছে ফিনল্যান্ড | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

রাশিয়ার গ্যাসের চালান ফিরিয়ে দিয়েছে ফিনল্যান্ড

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২

রাশিয়ার গ্যাসের চালান ফিরিয়ে দিয়েছে ফিনল্যান্ড
ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইউরোপের বেশ কিছু দেশ ইতোমধ্যে রাশিয়ান গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে। এর মধ্যে শনিবার উত্তর ফিনল্যান্ডের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) একটি টার্মিনালে রাশিয়া থেকে আসা চালান ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশবাদী আন্দোলনকারী দল গ্রিন পিসের কর্মীদের অবরোধের মুখে এই চালান প্রত্যাহার করে নেয় ফিনল্যান্ড। টার্মিনালের মালিক ও গ্রিন পিস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির। 

গ্রিন পিসের কর্মীদের দাবি, ছয় মাস আগে যখন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালায় তখন থেকেই হেলসিংকি গ্যাস আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। 

গ্যাসের আমদানিকারক ফিনিশ কোম্পানি গ্যাসামের মুখপাত্র ওলগা ভাইসানেন নিশ্চিত করেছেন যে, শনিবারের ওই চালানে ছিল রাশিয়া থেকে আসা এলপিজি।

টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ম্যানগা এলএনজির কর্মচারীদের পরিচালক মিকা কোলেহমাইনেন বলেছেন, টর্নিও বন্দরে স্থানীয় সময় ভোর সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রিন পিসের কর্মীদের বিরোধিতার মুখে গ্যাসের আমদানি বন্ধ করা হয়। এ সময় গ্রিন পিসের কর্মীরা টার্মিনালে অবস্থান করে। অন্যদিকে টার্মিনালের এলাকার বাইরে সুইডেনের বর্ডারের কাছে গ্রিনপিসের দুটি জাহাজ অবস্থান করছিল।

এর আগেও গত সপ্তাহে গ্রিন পিসের আন্দোলনকারীরা একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়। সে সময় সুইডেনে রাশিয়ান গ্যাসের একটি চালান তারা আটকে দেয়।

এদিকে শনিবারের এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গ্রিনপিসের কর্মী ওল্লি তিআইনেন বলেন, রাশিয়ান গ্যাস এখনো ফিনল্যান্ডে আসার সুযোগ পাচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য একটি ব্যাপার। 

তিনি আরও বলেন, ফিনিশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির ওপর অচিরেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। 

তবে সম্প্রতি রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা সুইডেনের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় নি। 

সূত্র জানায়, রাশিয়া গত মে মাসে ফিনল্যান্ডে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, সেটি ছিল জ্বালানির মূল্য পরিশোধ সংক্রান্ত ব্যাপার। কিন্তু সমুদ্রপথে গ্যাস সরবরাহ এখনো চলছে।