ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

‘আমি শেখ হাসিনার চাকরি করি না, ক্যাবিনেট কলিগ’

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২

‘আমি শেখ হাসিনার চাকরি করি না, ক্যাবিনেট কলিগ’

ফাইল ছবি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমি শেখ হাসিনার চাকরি করি না, আমি ওনার ক্যাবিনেট কলিগ।’ তিনি বলেন, ‘বিগত ১০-১৫ বছর একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর একটা সিদ্ধান্তে এসেছি, আমরা একে-অপরের কলিগ। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য বলছি না। আমি ওনার চাকরি করি না। আমি ওনার ক্যাবিনেট কলিগ। আমি দল করি, উনি আমাকে সঙ্গে নিয়েছেন। ওনাকে খুশি করতে হবে না। উনি আমার ক্যাপ্টেন, বিগ ক্যাপ্টেন। আমি তার কথা মানি। এই মুহূর্তে আমাদের গুছিয়ে চলা দরকার। কার কাজ কী তা জানাও দরকার।’

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে ‘৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন-প্রত্যাশা এবং চ্যালেঞ্জ‍’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সবক্ষেত্রে সামাজিক স্থিতিশীলতা দরকার উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, অর্জন ও প্রত্যাশার জন্য সামাজিক স্থিতিশীলতা দরকার। এটি আমাদের জন্যই দরকার, এটা শেখ হাসিনার কিংবা অন্য কারও জন্য নয়। এজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে গুছিয়ে চলা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের সব সেক্টরে যে অর্জন ও উন্নয়ন হয়েছে, তার গল্প বলে শেষ করা যাবে না। আমরা ৫০ বছরের মধ্যে ২০-২২ বছর নষ্ট করেছি। সামরিক শাসন, আধা সামরিক শাসন, একনায়কতন্ত্র শাসন, এক ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ শাসন আমাদের সময় নষ্ট করেছে। নিরেট পুঁজিবাদী কিংবা লোভী পুঁজিবাদীও যদি হয়, তবু তাতে অগ্রগতি হবে, প্রবৃদ্ধি হবে। কিন্তু সামরিক শাসনে অগ্রগতি নেই।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে দেশের যে অবস্থা ছিল এখন তার বেশ পরিবর্তন হয়েছে। আমরা সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সব দিক দিয়ে অনেক কিছু অর্জন করেছি। আমি যদি তা বলতে শুরু করি, তাহলে অর্জনের কথা বলে শেষ করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামে ছোটখাটো বিল আছে, সেখানে মাছ থাকে। এগুলো আবহমানকাল ধরে গ্রামের মানুষ ধরে খায়। কিন্তু এটাকে এখন আইন করে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। ইজারা নিচ্ছে আমাদের মতো মানুষ— যার অর্থ আছে। এই যে বললাম বিধিবদ্ধভাবে এবং আইনিভাবে স্থাপিত। এখানে দরিদ্র লোকজন পরিশ্রম করে প্রাকৃতিক প্রোটিন পেতো। কিন্তু তা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমন অসংখ্য উদাহরণ দিতে পারবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস। আরও বক্তব্য রাখেন— সম্মেলনের আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পলিটিক্যাল স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকী।

উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তুরস্ক, ভারত, মঙ্গোলিয়া ও ডেনমার্কসহ আটটি দেশের ৯৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষকরা। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক অংশ নেন। দুই দিনে ১৪টি সেশনে সশরীরে এবং দুটি সেশনে ভার্চুয়ালি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।