স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ৮২ হাজার ৫৮৩ জনকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের শক্তিশালী করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে রাজারবাগে পুলিশের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তোমাদেরকে জনগণের পুলিশ হতে হবে। তোমরা বৈদেশিক উপমহাদেশীয় কোনো শাসন কর্তার পুলিশ নও। তোমরা এদেশের পুলিশ। তোমাদের এদেশে মানুষের পাশে থাকতে হবে। আজকে সেই জায়গাতেই পুলিশ আসছে। আপনারা ১৫-২০ বছর আগে যে পুলিশ দেখেছিলেন, সেই পুলিশের সঙ্গে বর্তমান পুলিশের অনেক পার্থক্য রয়েছে। এরা যেমন জীবন উৎসর্গ করে, তেমনি তাদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ক্রাইম ডিটেকশনের জন্য সময় নেয় না।
মন্ত্রী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার রাতে গাজীপুর পুলিশ লাইনস মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নারী পুলিশ তৈরি করার জন্য আমাদের আহ্বান জানিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নারী পুলিশ গঠনের জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নারী পুলিশ গঠন করে সেখানেও সফলতা পেয়েছি।
করোনাকালে মানবিক কাজের জন্য পুলিশের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মহামারিতে সন্তান যখন তার মায়ের লাশ হাসপাতালে ফেলে চলে যায়, তখন পুলিশ তার দাফন কার্য সম্পাদন করে।
জিএমপির কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
অনুষ্ঠানে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, মোটরবাইক নিয়ে শোভাযাত্রাটি পুলিশ লাইনসে এসে শেষ হয়। এখানে বেলুন, পায়রা উড়িয়ে এবং কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্ধোধন করা হয়।