ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়। এবারের পরীক্ষার ফলে মেধা তালিকায় ৩ হাজার ২৩০ জনকে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১০টি কেন্দ্রে একযোগে ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মেধা তালিকার বাইরে মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি/আদিবাসীসহ বিভিন্ন কোটায় রাখা হয়েছে ২৬৬ জনকে। আর কোটা বাদে অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৪৬০ জনকে। মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি/আদিবাসীসহ বিভিন্ন কোটায় অপেক্ষমাণ আছেন ৩৫৭ জন।

তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত সমন্বিত এ ভর্তি পরীক্ষায় এ বছর নেতৃত্ব দিয়েছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

ভর্তি প্রক্রিয়ার সময়সূচি এবং ভর্তিচ্ছুদের করণীয়

১. ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেধা তালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিগ্রি/বিষয়গুলোর পছন্দক্রম/অপশন প্রদান করতে হবে।

২. ৩০ সেপ্টেম্বর মেধা তালিকার প্রার্থীদের প্রাপ্ত ডিগ্রি/বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

৩. ১ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত মেধা তালিকার প্রার্থীদের অনলাইনে ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের যেকোনো একটির মাধ্যমে ভর্তি ফি-এর প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা (অফেরত যোগ্য) জমা দিয়ে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।

৪. ১৬ অক্টোবর অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর শূন্য আসনের (যদি থাকে) জন্য অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাপ্ত ডিগ্রি/বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

৫. ১৭ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের অনলাইনে ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের যেকোনো একটির মাধ্যমে ভর্তি ফি-এর প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে আগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।

৬. ২৬ অক্টোবর দ্বিতীয় অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর শূন্য আসনের (যদি থাকে) জন্য অবশিষ্ট অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাপ্ত ডিগ্রি/বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

৭. ২৭ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয়বার অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে অনলাইনে ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের যেকোনো একটির মাধ্যমে ভর্তি ফি এর প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা (অফেরত যোগ্য) জমা দিয়ে আগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে এবং ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।

৮. ৬ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করা প্রার্থীদের অটোমাইগ্রেশনের পর প্রাপ্ত নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেখানকার জন্য প্রযোজ্য ভর্তি ফি-এর সঙ্গে পূর্বে জমা করা ১০ হাজার টাকা সমন্বয় করা এবং মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ও কোটা ডকুমেন্টস (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জমা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম চূড়ান্ত করতে হবে। এর কোনরূপ ব্যত্যয় হলে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।

৯. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর তারিখ স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করবে।

১০. ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট acas.edu.bd এ পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, এবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে।