আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনেরও নেতা নেই, নির্বাচনেও নেতা নেই। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবকে প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় কি ঢেউ আসবে? তাদের আন্দোলন গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে, কিন্তু ওই সরকারের নেতা কে তা কেউ জানে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন। ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও যথা সময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে । নির্বাচনকালীন সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আ. লীগের সঙ্গে জাপা থাকবে কি-না, যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সব বিষোদগার আর অপপ্রচারের জবাব দেয়া হবে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের মাধ্যমে। তিনি বলেন, আজকে বিএনপি শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়, তাই তারা এখন নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি যদি আবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের মধ্যে অন্তঃকলহ দূর করতে হবে, দলের দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দল যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে তাহলে নির্বাচনে সফলতা আসবে না, তাই অবশ্যই দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব দূর করতে হবে এবং আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলদের নেতা বানানো যাবে না বলেও জানান তিনি।
ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এবং ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু।