চীনে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মুইফা’। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপসহ নির্দেশনা জারি করেছে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।
চীনের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ ঝেজিয়াংয়ের কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— জাহাজগুলোকে বন্দরে নোঙর করতে বলার পাশাপাশি স্কুল বন্ধ ও পর্যটকদের সরাতে বলা হয়েছে। কারণ বুধবারের মধ্যে এ বছরের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভূমিতে আছড়ে পড়তে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মুইফা শক্তিশালী রূপ ধারণ করেছে। এটি চীনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বন্দরনগরী নিংবো ও ঝুশানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এ বছরের ১২তম ঘূর্ণিঝড়টি ওয়েনলিং এবং ঝুশান শহরের মধ্যে আঘাত হানবে। এর প্রভাবে পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূল অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি নিংবো ও ঝুশানের দক্ষিণ পাশে সাংহাইয়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্রেও আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাংহাই আন্তর্জাতিক শিপিং ইনস্টিটিউট বলেছিল, সাংহাইয়ের পাশে চীনের সবচেয়ে ব্যস্ততম কনটেইনার সমুদ্রবন্দরে ৫ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়বে। এ জন্য সাংহাই ইয়াংশান টার্মিনালসহ অন্যান্য বন্দরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কিছু কার্যক্রম বাতিল করবে এবং আজ সকাল থেকে পুরোপুরি সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের এয়ারলাইন্স জানায়, মঙ্গলবার সাংহাই বিমানবন্দরে ২৫ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং বুধবার ১১টি ফ্লাইট বাতিলের পরিকল্পনা রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ঝুশানের পাশে পর্যটন এলাকা ও উপদ্বীপ থেকে ১৩ হাজার পর্যটককে সরানো হয়েছে। এ ছাড়া সাত হাজার ৪০০ জাহাজকে বুধবারের দুপুরের মধ্যে ঝুশান, নিংবো, তাইজৌ ও ঝিজিয়াং বন্দরে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
তিনটি শহর এবং সাংহাইয়ে ৪২.২৬ মিলিয়ন জনগণ বসবাস করেন। ঝেজিয়াং সরকার এরই মধ্যে দুপুরের আগে বন্দরে ফিরতে জাহাজগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। নিংবো, ঝুশান ও তাইজৌ তাদের বিদ্যালয় বুধবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। রয়টার্স জানায়, বুধবার নিংবো ও ঝুশানের বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।