বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অতি দ্রুত জাতির সাথে সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। স্থায়ী কমিটির এই সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
যুগপৎ আন্দোলনের জন্য সকল রাজনীতি দলকে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে কি হবে সেটা নির্ধারিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে কোন রাজনৈতিক দল ব্যক্তি সংগঠন যারা এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধারের জন্য, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করবে তাদের সকলের সাথে আমরা যুগোপথ আন্দোলন করবো।
মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যাচার নির্যাতন করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোন সরকারই বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। সেই সমস্ত কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী সরকার বেশিদিন টিকে থাকে, গুম, খুন, নির্যাতন, গ্রেফতার, দমন নীতির মধ্য দিয়ে। ভোলায় আব্দুর রহিম ও নুরে আলমকে হত্যার পরেও এবার কিন্তু মানুষ বেরিয়ে আসছে। তারপরেও তারা কিন্তু হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন,সহিংসতা বন্ধ করার জন্য একটি মাত্র পথ সেটা হল নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাকে আবার চালু করা।
তিনি বলেন, আমরা বলছি যে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।এই সংসদ বাতিল করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তাদের অধীনে আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে মানুষ ভোট দিতে পারে।
ফখরুল বলেন, ভূমিকা নেয় তার ওপর পুলিশের কাজ করতে হয়। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান। তার যে মৌলিক দায়িত্ব গুলো রয়েছে সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। নাশকতা বন্ধ করা। কিন্তু আপনার লক্ষ্য করে দেখবেন বাংলাদেশের পুলিশের কাজ একটি দাঁড়িয়েছে সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা।