ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

অক্টোবরেই হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২

অক্টোবরেই হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন
বর্তমান সময়ে টক অফ দ্য কান্ট্রি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আর ছাত্রলীগে এখন মূল আলোচনার বিষয় সম্মেলন। দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সম্মেলনের দাবি তুলেছেন। তারা চান, সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন হয়ে যায়। 

গত ১০ মে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের সহযোগী সংগঠন যাদের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাদেরও সম্মেলন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং তাদেরও এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। তার এই নির্দেশনার পর ছাত্রলীগের সম্মেলনের দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠে।

কিন্তু, তার পরপরই দেশের সিলেট-সুনামগঞ্জ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ও শোকের মাস আগস্টের কারণে পিছিয়ে পড়ে সম্মেলনের কার্যক্রম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কবে হবে  মেয়াদোত্তীর্ণ এই সংগঠনটির ৩০তম জাতীয় সম্মেলন? 

একাধিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে হতে পারে।

আগামী মাসের (অক্টোবর) প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে ও ১৭ই অক্টোবর সারাদেশের ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচন। এর পরপরই আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ও ২০২২ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সফল করতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরোদমে কাজ শুরু করবে দলটির নেতা-কর্মীরা। থাকবে দলীয় নির্দেশনাও। 

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে লন্ডন যাবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সামনে রেখে দুই-তিনদিন আগেই লন্ডন যাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফর শেষ করে দেশে ফিরলে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪ নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার কাছে ছাত্রলীগের সম্মেলনের জন্য তারিখ চাইবেন বলে জানা গিয়েছে। 

ছাত্রলীগের সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বি এম মোজাম্মেল হক ফ্রিডম বাংলা নিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলনের ব্যাপারে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। আমরা শীগ্রই সম্মেলনের বিষয়ে একটি বৈঠক করবো। তবে, ডিসেম্বরের পূর্বেই সম্মেলন হয়ে যাবে। সেই হিসেবে অক্টোবরে ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সম্মেলনের বিষয়ে সংগঠনটির সহ-সভাপতি শওকতুজ্জামান সৈকত বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের সময় চলে এসেছে। সম্মেলন হচ্ছে এটি যেমন গুজব, আবার সম্মেলন হবে না সেটিও তেমনভাবে গুজব। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি যখন তারিখ ঘোষণা করবেন, তখনই সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে, আমি মনে করি, এই সময়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়ে যাওয়া উচিত।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।  গঠনতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার মেয়াদ ২০২০ সালের মে মাসে অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি নির্দেশনা দেওয়ার পরও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সম্মেলন না করার টালবাহানা সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এরমধ্যে সংগঠন ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের প্রায় সাড়ে চার বছর অতিক্রম করে ফেলেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার কোনো লাভজনক এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার চেয়ার নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ৩০তম সম্মেলনের মাধ্যমে আগামীর নেতৃত্ব একটি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী নেতৃত্ব হিসেবে সারা বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত আস্থা অর্জন করবে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আসন্ন ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে মমতাময়ী নেত্রীর কাছে আমাদের একটি চাওয়া আগামীর ছাত্রলীগ যেন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ছাত্রলীগে হয়, অভিজ্ঞ সাংগঠনিক নেতৃত্বের অধীনে যেন আগামীর ছাত্রলীগ পরিচালিত হয়, সেজন্য বিচক্ষণ ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়।

সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলনের ব্যাপারে আমাদের মমতাময়ী নেত্রীর বরাত দিয়ে দলীয় সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের ভাই গত ১০ই মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সম্মেলনের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকে ছাত্রলীগের সম্মেলনের ব্যাপারে কোনোরকম দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাইনি। তাছাড়া ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তো নিয়মিত মধুর ক্যান্টিনে আসেন না। সাধারণ সভা, জরুরি সভা কোনোটিই করেন না। ফলে, সম্মেলনের ব্যাপারে তারা কতটুকু কী করেছেন, তার কিছুই আমরা জানতে পারি না। আমাদের পক্ষ হতে বারবার সম্মেলনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলেও, জয়-লেখক তেমন কোনো সদুত্তর আমাদেরকে দেয়নি।

সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের একটি গঠনতন্ত্র আছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের বাহিরেও আমাদের একজন অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়েছেন। তিনি যখন চাইবেন, তখনই সম্মেলন হবে। 

যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক বঙ্গবন্ধু-কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্ব সেই বিষয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি সাধারণ সভার আয়োজন করা হলেও, বন্যা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পুনরায় সাধারণ সভা ডেকে সম্মেলনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কাউকে অভিহিত করেনি। আমরা চাই দ্রুত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব আসুক। 

যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব খান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির গঠনতান্ত্রিক নিয়মের ২ বছরের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি গঠন হয়েছিলো, তারপর উক্ত কমিটির নেতৃত্বের অব্যহতি, এরপর ভারপ্রাপ্ত, ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত, এখন তা ৪র্থ বছর শেষ করে ৫ম বছরে পদার্পণ করেছে। দেশের করোনা মহামারি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দিষ্ট সময়ে সম্মেলন হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে ৩০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হোক, এটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রত্যাশা। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনে করি, আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক, ছাত্রলীগের সম্মেলনের ব্যাপারে দলীয় সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের স্যারের মাধ্যমে যেই নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা মেনে যেন ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্ব অক্টোবর মাসে ৩০তম সম্মেলনের আয়োজন করে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব এসে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। 

ছাত্রলীগের সম্মেলনের নির্দেশনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের ব্যাপারে কোনোরকম তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই। গত ১০ই মে জনাব ওবায়দুল কাদের স্যার নির্দেশনার পর আমরা একটি সাধারণ সভার আয়োজনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতির কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। কিন্তু দেশে বন্যাকবলিত সমস্যার কারণে সেটি আর হয়ে ওঠেনি। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে আর কোনোরকম নির্দেশনা আসেনি। তাছাড়া, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকেও কোনোরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আগামীতে সম্মেলনের ব্যাপারে নির্দেশনা পেলে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। 

আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত বলেন, আমাদের দলীয় সভানেত্রীর কাছ থেকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছি না। সম্মেলনের তারিখ পেলে আমরা সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক কার্যক্রম করবো। 

উপ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন বলেন, আমাদের আস্থার শেষ ঠিকানা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক প্রেস ব্রিফিং-এর মাধ্যমে ছাত্রলীগের কাছে সম্মেলনের তারিখও চেয়েছেন। কিন্তু ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেই নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে কালক্ষেপণ করছেন। যেটি সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ। আমরা অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের তারিখ চাই। 

তাছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনেক নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী ছাত্রলীগের সম্মেলন চান বলে জানিয়েছেন। তবে, সম্মেলনের ব্যাপারে দলীয় সভানেত্রীর তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মতামত প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তারা। 

সম্মেলনের বিষয়ের জানার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফ্রিডম বাংলা নিউজের পক্ষ হতে একাধিকবার কল করা হলেও কেউই কল রিসিভ করেননি। 

এদিকে, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১০ মাস আগেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিতদের স্থান দেওয়াসহ আরও কয়েকটি অভিযোগের কারণে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। 

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাবেক ১নং সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে পূর্নাঙ্গ সভাপতি এবং সাবেক ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে পূর্ণাঙ্গ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরমধ্য দিয়ে ৩ মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন তারা। তখন বলা হয়েছিলো, আগামী সম্মেলন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এই দুই নেতা। সেই অনুযায়ী, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরেই ২ বছর মেয়াদ শেষ হয় বর্তমান কমিটির। কিন্তু, ২০২০ ও ২০২১ সালে দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্মেলন হয়নি বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।