ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক নারী শিক্ষার্থী।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মামুনকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
আজ আদালতে মামুনের পক্ষ থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জুয়ায়ের আহমেদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ ও অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ সাদিক। অন্যদিকে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম (শামীম)।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার কোনো আলামত না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ২৫ এর (১) (ক) ধারায় এ অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ মামলায় ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ২৯ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। তবে এ মামলায় নুরুল হক নুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ।
গত বছরের ৫ অক্টোবর নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেন আদালত। হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নেওয়া হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ আনা হয়।