Can't found in the image content. যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করতে ফের ওয়াসার এমডির আবেদন | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করতে ফের ওয়াসার এমডির আবেদন

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করতে ফের ওয়াসার এমডির আবেদন

ফাইল ছবি

পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান; সেজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে ছুটির যে আবেদন তিনি করেছেন, তাতে আবারও বিদেশে বসে দাপ্তরিক কাজ করার অনুমতি চেয়েছেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর তাকসিম এ খান স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর ওই আবেদন করেন। তবে এখনও তা অনুমোদন করা হয়নি বলে অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ অনুবিভাগ) মো. খাইয়ুল ইসলাম জানিয়েছেন।

ওই আবেদনে বলা হয়েছে, নিজের চিকিৎসা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান তাকসিম এ খান। ঢাকা ওয়াসা বোর্ড ১০ অগাস্ট থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি অনুমোদন করলেও সে সময় দাপ্তরিক কাজের কারণে যেতে পারেননি। সেজন্য ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত অথবা যাত্রার তারিখ থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি চান।

তাকসিম এ খান তার আবেদনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় তিনি ‘অন ডিউটি’ থাকবেন।

“উক্ত সময়ে ঢাকা ওয়াসার স্ব-স্ব উইং প্রধানগণ তাদের নিজ নিজ উইংয়ের রুটিন কার্যক্রম সম্পাদন করবেন এবং সার্বক্ষণিক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। উক্ত সময় কাজের সুষ্ঠু ধারাবাহিকতার স্বার্থে একেএম সহিদ উদ্দিন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে বিভিন্ন সভায় উপস্থিত থাকবেন।”

আবেদনে ওয়াসার এমডি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের যাবতীয় খরচ তিনি নিজে বহন করবেন, এতে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ থাকবে না।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বসে দাপ্তরিক কাজ করার অনুমতি চেয়ে গত জুলাই মাসে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডে আবেদন করেছিলেন তাকসিম। ৭ জুলাই বোর্ডের ২৯৩তম সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে সে সময় বোর্ড তাকে বিদেশে বসে দাপ্তরিক কাজ করার অনুমতি দেয়নি।

এর আগে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দুই মাস যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তাকসিম। তখন সেখান থেকেই দাপ্তরিক কাজ সারেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।

তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

তাকসিম এ খানকে এমডি পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নে সম্প্রতি রুলও জারি করেছে আদালত।