কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মূল ফটক থেকে দক্ষিণ মোড়, দক্ষিণ মোড় থেকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের রোডের চারদিকে লাল ইটের টুকরা, কোমল পানীয়ের বোতল ভাঙা গাছের ডাল পরে আছে। রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলো যাওয়ার সময় মরমর করে শব্দ হচ্ছে। পূর্ব ঘটনার জের ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হল আবারো সংঘর্ষে জড়ানোর পর এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশেপাশের এলাকায়।
শনিবার (১০ সেপ্টবের) দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে নজরুল হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পেয়ে বঙ্গবন্ধু হলের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। খোদ নজরুল হলের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশও আহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর পরিস্থিতিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বায়েজিদ আহমেদ বাপ্পীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন শৃঙ্খলা দেখা যায়নি। কাল রাতে থেকে ক্যাম্পাসে ছিলেন না বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুই হলেরই নেতা-কর্মীরা বাঁশ, গাছের ডাল, রড ও ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ প্ররিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে সংঘর্ষ বন্ধ থাকলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখনো।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে নামাজে 'সাইড' চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে হাতাহাতিতে জড়ায় কাজী নজরুল ইসলাম হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। ঘটনার রেশ ধরে একই দিন সন্ধ্যায় কাজী নজরুল ইসলাম হলের এক ছেলেকে মারধর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী আকরাম হোসেইন, সালাউদ্দিন আহমেদ। এরপর শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টায় দুই হল আবারো সংঘর্ষে জড়ায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সদর দক্ষিণ থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। স্থায়ী সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত সবকিছু শান্ত আছে।