চার দিনের ভারত সফর শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ও সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজস্থানে খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফ জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে ভারত সফর সমাপ্ত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় থাকেন। এ সময় নফল নামাজ ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ কামনা করেন। এরপর শেখ হাসিনা আজমির শরিফ প্রদক্ষিণ করেন।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংর্বধনা দেওয়া হয়। ওই দিনই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর মৌর্য্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনে শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ ছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে খুলনার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। পরে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় কোনো দেশের রপ্তানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয় ভারত। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
একই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।