Can't found in the image content. ভারতের সঙ্গে যুক্ত হোক বাংলাদেশ-পাকিস্তান: আসামের মুখ্যমন্ত্রী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ভারতের সঙ্গে যুক্ত হোক বাংলাদেশ-পাকিস্তান: আসামের মুখ্যমন্ত্রী

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২

ভারতের সঙ্গে যুক্ত হোক বাংলাদেশ-পাকিস্তান: আসামের মুখ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সমন্বয়ে ১৯৪৭ সালের পূর্বকার সময়ের অখণ্ড ভারত গঠনে কংগ্রেসকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

তিনি আরও বলেছেন, ১৯৪৭ সালে কংগ্রেসের ভুলের কারণে পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেসের বর্তমান নেতা রাহুল গান্ধীর উচিত সেই ভুল সংশোধনে মনোযোগ দেওয়া।

কংগ্রেসের বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে সম্প্রতি ভাররের সর্ব উত্তরের রাজ্য কাশ্মির থেকে সর্বদক্ষিণের জেলা কন্যাকুমারি পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এই লংমার্চের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত জোড়ো’ লংমার্চ।

মঙ্গলবার আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের এই কর্মসূচির প্রতিক্রিয়ায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘ভারত সংযুক্ত আছে। কাশ্মির থেকে কন্যাকুমারি, শিলচর থেকে সৌরাষ্ট্র পর্যন্ত আমরা এক আছি।’

‘কিন্তু অখণ্ড ভারতকে খণ্ডিত করেছে কংগ্রেস। সেই খণ্ডনের ফলাফল প্রথমে পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ। কংগ্রেসের তৎকালীন নেতৃত্ব এই ভুলের জন্য দায়ী।’

‘যদি রাহুল গান্ধীর মনে তার নানা জওহরলাল নেহেরুর (তৎকালীন কংগ্রেসের সভাপতি) ভুলের জন্য কিছু পরিমাণেও অনুতাপ থেকে থাকে তাহলে তার উচিত— তার নানা যে গড়বড় করে গেছেন, তা মেরামতে উদ্যোগী হওয়া।’

কংগ্রেসের নেতার উদ্দেশে আসামের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতের ভেতরে ‘ভারত জোড়ো’ লংমার্চের প্রয়োজন নেই। বরং চেষ্টা করুন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে কীভাবে ভারতের সঙ্গে ফের যুক্ত করা যায়।’

বিজেপির অভিভাবক ও মতাদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরেএসএস) তার জন্মলগ্ন থেকেই ‘অখণ্ড ভারতে’ প্রতিষ্ঠার পক্ষে পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এই ‘অখণ্ড ভারতের’ মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, আফগানিস্তান, তিব্বত ও মিয়ানমারকে।

সূত্র: এনডিটিভি