Can't found in the image content. বিশ্বে করোনায় আরও সাড়ে ১৩শ মৃত্যু, সাড়ে ৪ লাখের বেশি শনাক্ত | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

বিশ্বে করোনায় আরও সাড়ে ১৩শ মৃত্যু, সাড়ে ৪ লাখের বেশি শনাক্ত

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২

বিশ্বে করোনায় আরও সাড়ে ১৩শ মৃত্যু, সাড়ে ৪ লাখের বেশি শনাক্ত

ফাইল ছবি

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ১৩শ’র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে চার লাখ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, হাঙ্গেরি, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ১৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৮ হাজার।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৬৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৭০ জনেরও বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৮ হাজার ৮৯৮ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২১ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার ৬৩৬ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭২৯ জন এবং মারা গেছেন ২৮২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪১ হাজার ৫৭৫ জন মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৭৪৪ জন এবং মারা গেছেন ২৮০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজার ৪৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৬ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৫ জনের।

ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ১৪২ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার ২৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৫৭০ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৯৬ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৫৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জনের। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ জন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৬০ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬০৫ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন। হাঙ্গেরিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩০০ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।