জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের মোবাইল ছিনতাইয়ের পাঁচ দিন পার হলেও এখনো সেটি উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশের দাবি, ফোনটি উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। কিন্তু আইফোন ব্র্যান্ডের হওয়াতে ফোনটির খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে।
জিএম কাদেরের ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছিল।
মামলাটির তদন্ত সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দরের সামনে থেকে জিএম কাদেরের ফোনটি ছিনতাইয় পর থেকে সেটি উদ্ধারে সাড়াশি অভিযানে নামে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজন ছিনতাইকারীকেও আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে সে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি।
এছাড়া, সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তিকে জিএম কাদেরের ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে করেও পুলিশ তেমনি কোনো ফলাফল পায়নি।
এ বিষয়ে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল বলেন, জিএম কাদেরের ফোনটি উদ্ধার করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে একজনকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তার কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
‘এছাড়া সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছেও কাঙ্ক্ষিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। নানা সোর্স লাগিয়ে ফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ছিনতাই হওয়া ফোনটি আইফোন। তাই এটি উদ্ধারে আমাদের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে সংসদ ভবন থেকে উত্তরার বাসায় যাচ্ছিলেন জি এম কাদের। রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের সামনে আসলে যানজটে আটকা পরে তার গাড়ি। এ সময় তিনি গাড়ির জানালা খুলে হাতে মোবাইল নিয়ে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে একজন ছিনতাইকারী জিএম কাদের ফোনটি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও গত বছরের ২৫ মে রাজধানীর বিজয় সরণিতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মোবাইলটি ছিনতাই হয়। ছিনতাইয়ের সময় মন্ত্রীর গাড়ির জানালা খোলা ছিল। ঘটনার দেড় মাস পর একটি ছিনতাইকারী চক্রের কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ।