ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

করোনায় বিশ্বে মোট শনাক্ত ছাড়াল ৬১ কোটি, মৃত্যু হাজারের নিচে

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

করোনায় বিশ্বে মোট শনাক্ত ছাড়াল ৬১ কোটি, মৃত্যু হাজারের নিচে

ফাইল ছবি

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেমেছে এক হাজারের নিচে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ইরান ও মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ১ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৩ হাজার।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৮৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে আড়াই শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৩ হাজার ৪৫৩ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৭০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ১ লাখ ৮১ হাজার ৬১১ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ১৩০ জন এবং মারা গেছেন ২৮৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার ২১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪০ হাজার ৮২৯ জন মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৫৫ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯৪৬ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ১৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৩৩৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৫ লাখ ১৭ হাজার ৭৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪২৭ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন।

ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২০ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ২৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৩২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৮ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৪২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৪২৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭১১ জনের। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩২১ জন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮২১ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৩১ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।