ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ইতিহাসের দিকে তাকান: কড়া হুঁশিয়ারি এরদোগানের

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২

ইতিহাসের দিকে তাকান: কড়া হুঁশিয়ারি এরদোগানের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান গ্রিসকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এথেন্স যদি এজিয়ানে তুর্কি যুদ্ধবিমানকে হয়রানি অব্যাহত রাখে এবং সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয় তাহলে তাদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে। খবর রয়টার্সের।

কৃষ্ণ সাগরের শহর সামসুনে এক জনসভায় এরদোগান বলেন, গ্রিস,  আপনারা ইতিহাসের দিকে তাকান। আপনারা যদি আরও অগ্রসর হন, আপনাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।

এদিকে, কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার তৈরি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে গ্রিস তুর্কি বিমানকে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করে তুরস্ক। গ্রিসের এই কর্মকাণ্ডকে ‘শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করে আঙ্কারা। 

অভিযোগ ওঠে, তুরস্কের কয়েকটি এফ-১৬ জঙ্গিবিমানকে লক্ষ্য করে গ্রিস তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস ৩০০-এর ক্ষেপণাস্ত্র তাক করেছিল। গত ২৩ আগস্ট এজিয়ান সাগর এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় তুর্কি বিমান নজরদারি অভিযান পরিচালনার সময় গ্রিস ওই ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে। 

অবশ্য গ্রিস ক্ষেপণাস্ত্র তাক করলেও তুরস্কের বিমান তাদের মিশন শেষ করে নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে যায় বলে এএফপি জানিয়েছে। 

সম্প্রতি গ্রিসের বিরুদ্ধে তুরস্ক উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করেছে। তুরস্কের অভিযোগ, গ্রিসের এই ধরনের পদক্ষেপ শান্তি প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

এর আগে, এরদোগান বলেছিলেন, ন্যাটোতে গ্রিসের দাম নেই, তুরস্ক ছাড়া ন্যাটো দুর্বল। যদি তুরস্ক থাকে ন্যাটো শক্তিশালী। তুরস্ককে ছাড়া ন্যাটো দুর্বল।

তিনি আরও বলেছিলেন, ন্যাটোতে তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রিসের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড জোটের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক খারাপ করতে পারবে না। 

এদিকে গত ৩০ আগস্ট নিজেদের বিজয় দিবস পালন করে তুরস্ক। এদিনে তুরস্ককে শুভেচ্ছা জানিয়ে ন্যাটোর পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গ্রিস সেটি আটকে দেয়। তারা ন্যাটোকে এ শুভেচ্ছা বার্তা দিতে দেয়নি। 

১৯২২ সালের এদিন দুমুলপিনার যুদ্ধে জয় পায় তুরস্ক। এটি ছিল তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ যুদ্ধ। ১৯২২ সালের ৩০ আগস্ট এই যুদ্ধ শেষে আনাতোলিয়া থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় গ্রিক সেনারা।

১৯২৩ সাল থেকে এ দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে তুরস্ক এবং ১৯২৬ সালে দিনটিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।