নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদের আসন এর সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। এ জন্য জনসংখ্যার প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। ঢাকার জনসংখ্যা বাড়লে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়তে পারে, আবার জনসংখ্যা কমলে আসন সংখ্যাও কমতে পারে বলে জানান তিনি।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, ঘরোয়া কাজ শুরু করে দিয়েছি। বর্তমানে ডাটা সংগ্রহ করছি, কোথায় কয়টা আসন, কত ভোটার সংখ্যা ইত্যাদি। জনসংখ্যার প্রতিবেদন পেলে সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে। এজন্য আমরা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান দেওয়ার জন্য বলেছি। তবে আগে পরিসংখ্যান ব্যুরো জেলা ভিত্তিক প্রতিবেদন দিয়েছে।
সাবেক এই ইসি সচিব আরও বলেন, আইনে বলা আছে প্রশাসনিক বিভাজনকে প্রাধান্য দিতে হবে। এরপর জনসংখ্যার বিষয়টি দেখতে হবে। তবে কোথাও কোথাও জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় থাকতে পারে। এ জন্যই তথ্য সংগ্রহ করছি। বিশ্লেষণ আমরা এখনও শুরু করিনি। তবে এ পর্যন্ত জনসংখ্যা যা দেখেছি তাতে প্রতি আসনে গড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার পড়ে। এ হিসেবে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। হলেও দুই একটাতে সীমানা পরিবর্তন করতে হবে হয়তো। তবে ঠিক কোন আসনে হবে তা পরীক্ষা করে এখনও দেখা হয়নি বলে জানান তিনি।
ঢাকার আসন সংখ্যার বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ঢাকায় ২০টি আসন বর্তমানে আছে। জনসংখ্যা যদি বেড়ে যায় তাহলে বাড়বে। আর যদি কমে তাহলে কমবে। তবে রিঅ্যারেঞ্জমেন্ট খুব একটা লাগবে বলে মনে হয় না। যোগ করেন তিনি।