প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫-৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফর করবেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে জ্বালানি সহযোগিতা।
ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারে ২ দেশ। রাশিয়া থেকে কম দামে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনছে ভারত।
বাংলাদেশে গত মাসে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত ২৯ আগস্ট বলেন, 'জ্বালানি ইস্যুতে ভারত ভালো অবস্থানে রয়েছে। তাই, তাদের কাছে উদ্বৃত্ত থাকলে আমরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার চেষ্টা করব।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি সফর করবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২ দেশের মধ্যে স্থল ও সমুদ্রসীমা নিয়ে বড় ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তির পর এই সফর বহুমাত্রিক সম্পর্কের একটি কাঠামো প্রদান করবে।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার শহীদুল হক বলেন, 'বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা অবশ্যই চাইবে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে দিল্লি সহায়তা করুক, বিশেষ করে জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে।'
ভ্রমণসূচি অনুযায়ী, ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা। ৬ সেপ্টেম্বর ২ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভাষণ দেবেন এবং ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের আজমির শরিফ দরগা পরিদর্শন করবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই সফরে বাণিজ্য, অর্থনীতি, জ্বালানি, সংযোগ, পানি বণ্টন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাকে উচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।