জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের (১০ তম ব্যাচ) বিদায় এবং ২০২০-২১ সেশনের (১৬ তম ব্যাচের) ব্যাচের নবীন বরন ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম এম মাতবর রহমান৷
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর ) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হক, উপাচার্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. কামালউদ্দিন আহম্মেদ কোষাধ্যক্ষ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন। সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রাজিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান পরিচালনা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মানপ্রদর্শন পূর্বক জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর নবীনদের ফুল দিয়ে বরন সহ নবীনদের উদ্দেশ্যে মানপত্র এবং বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করা হয়৷ এছাড়া বিদায়ী মেধাবীদের মাঝে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, যারা নবীন শিক্ষার্থী তোমরা ভর্তিযুদ্ধে উত্তীর্ণ হয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ এজন্য আমার পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। কেউ সিলেট, কেউ কুড়িগ্রাম, বরিশাল এমনকি দেশের ভিন্ন প্রান্ত থেকে তোমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেছ। কলেজে তোমাদের পরিচিত ছিল কিন্তু এখানে নতুন একটা পরিবেশে পেয়েছো দেশের বিভিন্ন জায়গার বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয় মানে একটা বিশ্ব, বিশ্বায়নে প্রবেশ। বাংলাদেশ আঙ্গিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মানে নতুন একটা বিশ্বে প্রবেশ করা, এজন্য আবার তোমাদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের এখানে ডিবেটিং সোসাইটি আছে, সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে খেলাধুলার ব্যাবস্থা আছে তোমরা খেলাধুলার পাশাপাশি কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের সঙ্গে যুক্ত হবে।
এছাড়া তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দীর্ঘদিন ধরে আটকিয়ে থাকার কারন রয়েছে, করোনা মহামারীর কারনে আমরা চেষ্টা করছি অনলাইনে মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করেছি৷ এমনকি অনলাইনে পরিক্ষা নেওয়ার নীতিমালা পর্যন্ত তৈরী করেছি। আল্লাহ রহমত ও পর্যন্ত আমাদের যেতে হয় নি। আমরা তোমাদের স্ব শরীরে পরিক্ষা নিতে পেরেছি এবং সাকসেসফুলি তোমাদের কোর্স কম্পিলিট করে নতুন একটা জগতে প্রবেশের করতে যাচ্ছো এ জন্য তোমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। তোমরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হবে এবং এল্যামনাই এসোসিয়েশনের যুক্ত মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে অবদান রাখবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. গোলাম এম মাতবর নবীন শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার প্লানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এবং জবির সমাজকর্ম বিভাগের উন্নতির লক্ষ্যে তিনি কিছু বই তুলে দেন। এছাড়া সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি স্ত্রীর নামে এক বিশেষ বৃত্তির আয়োজনের কথা জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রাজিয়া সুলতানা বলেন, তোমরা শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য এখানে এসেছ। কোন সমস্যা হলে আমাদের জানাবে। আমাদের নাহ জানিয়ে কোন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্লাস বর্জন করবে নাহ। এছাড়া সমাজকর্ম সমিতির পক্ষে থেকে আমরা কো-কারিকুলার, কারিকুলাম এর ভিত্তিতে ৩ টি ভিন্নধর্মী বৃত্তির ব্যাবস্থা করেছি। আমরা সার্বিক ভাবে তোমাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে নবীন বরন উপলক্ষে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নাটক, গান, কৌতুক, অভিনয় সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।