রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. চাঁন মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রোগে আক্রান্ত (হার্টে ছিদ্র, VSD ও বাল্বে সমস্যা) । অনার্সে ভর্তির আগে তার তিনটি অপারেশনের দরকার ছিল। পারিবারিক অসচ্ছলতার মাঝেও জায়গা জমি বিক্রি করে দুটি অপারেশন করিয়েছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ২০১৮ সালে বাবাকে হারান চাঁন মিয়া।
সংসারের দারিদ্রতায় অসুস্থতার মাঝেও পরিবারের ঝুঁড়ি মাথায় নেন তিতুমীর কলেজের এই শিক্ষার্থী। বুকের চিকিৎসা না করিয়ে পড়ালেখা আর সংসারের বোঝা দীর্ঘদিন ধরে বইয়ে বেড়াচ্ছেন চাঁন মিয়া। পারিবারিক অসচ্ছলতায় তার আর চিকিৎসা করানোর সম্ভব হয়নি। এদিকে দিনকে দিন যত পার হচ্ছে তত চাঁন মিয়ার হার্টের বাল্ব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চাঁন মিয়া জানান, পুর্বে যখন আমি অসুস্থ হয়ে যাই তখন আমার হার্টে একটা জন্মগত ছিদ্র দেখা দেয়। ডাক্তার তখনই অপারেশন করতে বলেছিলো। পরে বাবা মারা যাওয়ার পর টাকা পয়সার সংকটের জন্য আর অপারেশন করতে পারিনি। এখন আমার হার্টের সমস্যাটা দিন দিন বেড়ে চলছে। কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। ডাক্তার বললো যতদ্রুত সম্ভব হার্টের অপারেশন করাও। এছাড়া তোমার হার্টের বাল্ব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্যারকে বললাম স্যার আমার কাছে তো এত টাকা পয়সা নেই আমি কিভাবে করাবো। ডাক্তার বললো কিছুই করার নেই যদি বাঁচতে চাও চিকিৎসা নাও না হয় তোমার যে সমস্যা তা আর বেড়ে চলবে।
তিনি জানান, অপারেশন করাতে প্রচুর টাকা পয়সার দরকার। ডাক্তার বলেছে ভালোভাবে তোমার হার্টের অপারেশনটা করাতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিনা। বাবার পরে আমিও মারা গেলে আমার পুরো পরিবার মরে যাবে। আমি বাঁচতে চাই। আমি পড়ালেখা করে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। আপনাদের সকলের কাছে আমি মানবিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে চাঁন মিয়ার ব্যাপারে সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মো. মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি এই ব্যাপারে অবহিত হয়েছি। চাঁন মিয়া আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। আমরা ক্যাম্পাস থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি তাকে।
মো. চাঁন মিয়া ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের ২০১৮-১৯ সেশনের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া।
যারা চাঁন মিয়ার সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে চান (চাঁন মিয়া-০১৭৩১৮৮৯৭৪৮)